কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা পঞ্জাব কংগ্রেসের ইন-চার্জ হরিষ রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল নভজ্যোত সিং সিধু প্রসঙ্গে কিছুটা সুর নরম করেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। তবে ক্যাপ্টেনের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে যে যতদিন না জনসমক্ষে সিধু তাঁর কাছে ক্ষমা চাইছেন, ততদিন তিনি সিধুকে না ক্ষমা করবেন, না তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করবেন। পাশাপাশি সিধুকে দলের সভাপতি করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিলেও অমরিন্দর জানিয়ে রেখেছেন, দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তাঁকে না জানিয়ে নেওয়া যাবে না।
এর আগে গলকাল মোহালিতে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ফার্ম হাউজে বৈঠকে বসেন হরিষ রাওয়াত এবং অমরিন্দর সিং। সেই বৈঠকের পরই অমরিন্দর বলেন যে হাইকমান্ড যেই সিদ্ধান্ত নেবে, তা মাথা মেনে নিতে প্রস্তুত তিনি। উল্লেখ্য গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সিধুকে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি করা নিয়ে জল্পনা উড়ছে। তবে এই বিষয়ে নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন অমরিন্দর সিং। একদিন আগেই অমরিন্দর একটি চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে। সেই চিঠিতে অমরিন্দর স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে সিধু দলের সভাপতি হতে তা দলের জন্যে ভালো হবে না।
পরে অবশ্য সুর নরম করেন অমরিন্দর। শনিবার পঞ্জাবে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠকের পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাইকমান্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা মাথা মেনে নিতে প্রস্তুত। তারইমধ্যে ‘পথ নির্দেশনার’ জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল ঝাকারের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সিধু। তা থেকেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়, এতদিন হাওয়ায় যে খবর ভাসছিল, তা সত্যি হতে চলেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হতে চলেছেন সিধু। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।