কৃষক আন্দোলনের আবহে পঞ্জাবের পুরসভা নির্বাচনে ভরাডুবির মুখে পড়ল বিজেপি। সেই সুবাদে আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্জাবে নিজেদের পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করল কংগ্রেস। এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে পৃথকভাবে লড়ে অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে শিরোমণি অকালি দল। তৃতীয় স্থানে আছে আম আদমি পার্টি (আপ)।
বুধবার সকাল ন'টা থেকে রাজ্যের ১০৯ টি পুরসভা এবং আটটি পুরনিগমের ২,৩০২ ওয়ার্ডের ভোটগণনা শুরু হয়। শুধুমাত্র মোহালি পুরনিগমে বৃহস্পতিবার গণনা হবে। আপাতত পুরোপুরি দাপট দেখিয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যে ভাতিন্দা, কাপুরথালা, হোশিয়ারপুর, পাঠানকোট পুরনিগমে ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দল। বেশিরভাগ পুরসভায় এগিয়ে আছে কংগ্রেস। বিভিন্ন জেলায় নিজেদের ভোটব্যাঙ্কও মজবুত করেছে। যে ভোটকে আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল হিসেবে ধরা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার কেন্দ্রবিন্দু পঞ্জাব। তার ফলে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যে ভাবাবেগ তৈরি হয়েছে, তার সুফল পেয়েছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয় বিজেপি-বিরোধী হাওয়া এতটাই তীব্র ছিল যে রীতিমতো ভরাডুবির মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। ভোটাররা ভোটে কার্যত নিজেদের ‘রাগ’ উগরে দিয়েছেন। পাশাপাশি কৃষি আইন মতবিরোধের জন্য এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসেছে শিরোমণি অকালি দল। ফলে একা লড়াই করে দাঁত ফোটানোর কোনও সুযোগ পায়নি বিজেপি। কংগ্রেসের থেকে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে আছে প্রাক্তন এনডিএ শরিক শিরোমণি অকালি দল। প্রত্যাশার থেকে খারাপ ফল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলও। কৃষি আইন বিরোধী ভাবাবেগের পালে হাওয়া দিয়ে ভালো ফলের আশায় থাকলেও খুব একটা পাত্তা পায়নি আপ।