তৃণমূলের বঙ্গ জয়ের পিছনে চাণক্য পিকে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর। দিকে দিকে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রেও বিড়ম্বনারও অন্ত নেই। এবার তাঁর নাম ভাঁড়িয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে জালিয়াতির কারবার। টাকা দিলেই নাকি প্রার্থী হয়ে যেতে পারবেন যে কেউ। প্রশান্ত কিশোরের নাম ভাঙিয়ে নির্বাচনে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারণা চক্রের চাঁইরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল পঞ্জাব পুলিশ। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা আসন্ন পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নামে একাধিক নেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তর নাম রাকেশভূষণ ভাসিন ও রজতকুমার রাজা। এরা দু’জনেই শিবসেনা (সূর্যবংশী) নামে একটি দলের সদস্য। ঘটনার পর থেকেই এই চক্রের মূল পান্ডা গৌরব শর্মা পলাতক। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, গৌরবই এই চক্রের মূল পান্ডা।বিভিন্ন নেতার সঙ্গে গিয়ে দেখা করত। তারপর নিজেকে প্রশান্ত কিশোর পরিচয় দিয়ে জানাত, আগামী নির্বাচনে প্রার্থী খোঁজার জন্য কংগ্রেস তাকেই দায়িত্ব দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রার্থী হতে চাইলে টাকা দিলেই হতে পারবেন। অন্য দলে থাকা অনেক নেতারা তাদের ভরসা করে টাকাও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরকমই এই তিনজন মিলে নির্বাচনে প্রার্থী করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নেতাদের কাছ থেকে মোট ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গৌরবই ছিল এই চক্রের মূল মাথা। তিনিই নিজেকে প্রশান্ত কিশোর হিসেবে পরিচয় দিয়ে টাকা নিত। ধৃতদের মধ্যে রাকেশ ছিল শিবসেনা (সূর্যবংশী) সংগঠনের জাতীয় সভাপতি। অন্যদিকে, রজত এই সংগঠনের সম্পাদক ছিল। এর আগে রাকেশ একাধিকবার খুনের হুমকি পেয়েছিল। সেই কারণে পঞ্জাব সরকার তাকে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী দেয়। রাকেশ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে প্রতারণা করতে অসুবিধা হয়নি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই চক্র প্রথমে বাটালার বিদায়ী বিধায়ক তারপর সঙ্গরুরের দুই স্থানীয় নেতা ছাড়াও জালন্ধরের মেয়রের কাছ থেকে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা তোলে বলে অভিযোগ। লুধিয়ানার বিধায়ক চক্রের পরবর্তী টার্গেট ছিলেন। যদিও, তার আগেই গ্রেফতার করা হয় প্রতারণা চক্রের চাঁইকে।