দেবব্রত মোহান্তি
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে জড়িত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে রাজ্য সরকারের সংস্থার হাতে। এমনই অভিযোগ করল আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ (এএসআই) সোমবার ওড়িশা হাইকোর্টকে বলেছে, রাজ্য সরকারের একটি নির্মাণ সংস্থা পুরীর ১২ শতকের জগন্নাথ মন্দিরের আশেপাশের প্রত্নতাত্ত্বিক অবশেষ ধ্বংস করেছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের চারপাশে একটি করিডোর নির্মাণ চলাকালীন মাটির গভীরে খনন কাজ চালাতে হয়। সেই সময় এই সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: একাধিক রাজ্যে ‘সংখ্যালঘু’ তকমা পেতে পারে হিন্দুরা? আলোচনার টেবিলে বসবে কেন্দ্র)
আদালতে পেশ করা হলফনামায় আর্কেওলজিকাল সার্ভের তরফে বলা হয়, ‘এটা স্পষ্ট যে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট স্তরীভূত কোনও জিনিস অপসারণ করা হয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী স্থানের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।’ হলফনামায় আরও বলা হয়, ‘এই বিষয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন ওড়িশা ব্রিজ অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (ওবিসিসি) কর্মকর্তারা মাটি সরানোর পদ্ধতি এবং খনন থেকে সাংস্কৃতিক কোনও নিদর্শন সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিলেন।’ এর আগে অবশ্য ওড়িশার মুখ্য সচিব সুরেশ মহাপাত্র বলেছেন জগন্নাথ মন্দিরের চারপাশের সমস্ত কাজ এএসআই-এর সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আশেপাশে ‘হেরিটেজ করিডোর’ প্রকল্পের অধীনে চলা নির্মাণ কাজ নিয়ে বিতর্ক চলছিল বহুদিন ধরে। আন্তর্জাতিক হেরিটেজ সেন্টার হিসেবে জগন্নাথ মন্দিরকে গড়ে তোলা হচ্ছে। আর সেই কারণেই বর্তমানে পুরীতে হেরিটেজ করিডর প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু তার থেকেই বিপত্তি এবং বিতর্ক। করিডর তৈরির কাজের জন্য ভারি যন্ত্রপাতি দিয়ে মন্দিরের সামনে খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে। সেই কম্পন থেকে মন্দিরের দেওয়ালে ফাটল ধরার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।