নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকেই ছুটছিল ট্রেন। কিন্তু মাঝপথে একটা জায়গায় দাঁড়ানোর পরেই বিপত্তি। নিজে থেকেই ভুতুড়ে কায়দায় উল্টো দিকে পিছোতে শুরু করল জনশতাব্দী ট্রেন। একটু আধটু নয়- প্রায় ২০ কিলোমিটার!
বুধবারের ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের। পিলভিট থেকে তনকপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। মাঝপথে লাইনে একটি গরু কাটা পড়ার খবর মেলে। তাই সিগন্যাল না পাওয়ায় খতিমা নামে একটি স্থানে মাঝপথে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন।
এতক্ষণ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। হঠাৎই নিজে থেকে আবার ফিরতি পথে চলতে শুরু করে ট্রেনটি। অর্থাত্ তনকপুরের বদলে পিলভিটের দিকেই ফিরে যেতে শুরু করে ট্রেনটি।
ট্রেনের চালকরা প্রথমে ব্যাপারটা দেখে বেজায় থতমত খেয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামানোর মরিয়া চেষ্টা করতে শুরু করেন। কিন্তু ট্রেন থামেনি। দিব্যি নিজের মতো ফিরতি রুটে চলতে থাকে পূর্ণাগিড়ি জনশতাব্দী এক্সপ্রেস।
উত্তর-পূর্ব রেলের এক আধিকারিকের কথায়, 'আসলে ওই জায়গাটায় লাইনের ঢালটা পিছনের দিকে অনেকটাই বেশি। ফলে গড়িয়ে গড়িয়ে পিছনে ফিরতে শুরু করে ট্রেন। এদিকে ট্রেনের ব্রেক সেই সময়েই অকেজো হয়ে যায়। এই জন্যই এরম পরিস্থিতি।'
তবে, ট্রেন এভাবে চলছে তার খবর যায় কন্ট্রোলরুমে। সঙ্গে সঙ্গে সেই লাইনে সমস্ত ট্রেন অন্য রুটে ঢুকিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত লেভেল ক্রসিং।
ট্রেন অবশ্য নিজে নিজে থামেনি। লাইনে আগে থেকে অনেকটা মাটি পাথর, ডালপালা ফেলাতে শুরু করেন রেলকর্মীরা। প্রায় ২০ কিলোমিটার গড়িয়ে গড়িয়ে আসার পর অবশেষে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসেন যাত্রীরা। স্বস্তির হাঁফ ছাড়েন সকলেই। তবে, ব্রেক ফেল হওয়ার ঘটনাকে লঘু করে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। আপাতত সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন রেলের আধিকারিকরা।