প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনকে রোখার অন্যতম চাবিকাঠি পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের কুরেভর এয়ারস্ট্রিপ। যোগী রাজ্যে এই হাইওয়ে উদ্বোধন করতে গিয়ে এই এয়ারস্ট্রিপেই অবতরণ করে মোদীর C-130J সুপার হারকিউলিস বিমান। এই এয়ারস্ট্রিপটিতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বাহিনীর যুদ্ধ বিমান ওঠা-নামা করতে পারেবে।
এদিন এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করে মোদী বলেন, 'উত্তরপ্রদেশের এক নতুন সকালের সূচনা হয়েছে। আমি সাত আট বছর আগের উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি দেখে হয়রান ছিলাম। এই এক্সপ্রেসওয়ের কারণে সব বর্গের মানুষ লাভবান হবে। এই প্রকল্পের নির্মাণের সময় অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখনও এর কারণে লক্ষাধিক তরুণ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। আজকে পশ্চিমাঞ্চলের সম্মান যতটা, পূর্বাঞ্চলেরও সম্মান ততটাই। এই এক্সপ্রেসওয়ের কারণে বিহারের মানুষেরও লাভ হবে।' আজকের ভাষণে মোদী বারংবার আগের সরকারকে দোষারোপ করেন।
মোদীর উদ্বোধন করা পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ৩১৪ কিলোমিটার। লখনউ জেলার চৌরসরাই গ্রাম থেকে শুরু হয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে হায়দরিয়া গ্রামে গিয়ে শেষ হচ্ছে। এই এক্সপ্রেসওয়েতে ছ'টি লেন রয়েছে। ভবিষ্যতে এটিতে ২ লেন বাড়িয়ে ৮ লেন হাইওয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে লখনউ থেকে গাজিপুর ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে। পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এয়ারস্ট্রিপে ভারতীয় বিমানবাহিনী এয়ার শো বা বিমান প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেন।
এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই এক্সপ্রেসওয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের লখনউ, বারাবাঁকি, আমেঠি, অযোধ্যা, সুলতানপুর, আম্বেদকরনগর, মৌ, আজমগড়, এবং গাজিপুর জেলার পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই এক্সপ্রেসওয়ের হাত ধরে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের চেহারা বদলাতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।