কেবল রাশিয়ার জন্য নয়, পর্ন পুরো বিশ্বের জন্য একটি সমস্যা। এমনটাই মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার পর্ন সাইট নিষিদ্ধের বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন পুতিন। তিনি পর্ন সাইটের কিছু বিকল্প নিয়ে আসার কথা ভাবছেন। এর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন যে পর্ন বাদে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য আরও আকর্ষণীয় বা আরও আবেগপূর্ণ কিছু দরকার। যার দরুণ পর্ন নিষিদ্ধ করা হলেও আমাদের কাছে আরও মজার কিছু বিকল্প থাকে।
আরও পড়ুন: (Mumbai boat accident tragedy: 'শো-অফ' করছিলেন নৌসেনার বোটের চালক! দাবি মুম্বইয়ের ফেরিডুবির ঘটনায় জীবিতের)
রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, আমাদের পর্নো সাইটের আরও ভালো বিকল্প তৈরি করতে হবে। আমাদের এমন কিছু তৈরি করতে হবে যা এই ধরনের এডাল্ট কন্টেন্টের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় এবং মনোযোগ আকর্ষণ করার ক্ষমতা রাখে। তিনি বলেন, আমি মনে করি পর্ন সাইটগুলো সারা বিশ্বে দেখা হয়। সারা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এগুলো। তাই এটি কেবল রাশিয়ার জন্য নয়, প্রতিটি দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। আর আমরা সেই সমস্যার সমাধানে অবশ্যই এই সাইট নিষিদ্ধ করতে পারি। কিন্তু তার জন্য আমাদের অবশ্যই পর্ন ওয়েবসাইটের চেয়ে অবশ্যই আরও আকর্ষণীয় বিকল্প নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: (১০৫ টাকার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, হাইকোর্টে স্বস্তি ছোলে ভাটুরে বিক্রেতার)
উল্লেখ্য, পর্নের ক্ষেত্রে রাশিয়া তার পুরানো মতামত নিয়েই রয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পর্ন নিষিদ্ধও করা হয়েছে সে দেশে। আর বলা বাহুল্য, পুতিনের এই মন্তব্যগুলি পারিবারিক মূল্যবোধ এবং তরুণদের মুখোমুখি হওয়া সমস্যাগুলি সম্পর্কে একটি বৃহত্তর আলোচনার অংশ ছিল, যেখানে তিনি সামাজিক সমস্যার নতুন এবং সৃজনশীল সমাধান খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন।
এমনকি রাশিয়ার পাশাপাশি, চিন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশেও পর্ন নিষিদ্ধ। এই দেশগুলিতে গুগল এবং ইউটিউবের মতো কোনও আমেরিকান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নেই, তাই ইন্টারনেটের সমস্ত ডেটা সরকারের নজরদারির অধীনেই আসে। সম্প্রতি, যখন উত্তর কোরিয়ার সৈনারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে রাশিয়ায় এসেছিল, তখন তারা পর্নে আসক্ত হয়ে পড়ে বলে খবরও সামনে আসে। তবে এ ধরনের প্রতিবেদনের বিষয়ে রাশিয়া মুখ খুলেছে বলে জানা যায়নি।
পুতিন আরও যে যে বিষয়ে কথা বললেন
বৈঠকে পুতিন রাশিয়া এবং রাশির বাইরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনার সময় তিনি বলেন, আগে ব্যবস্থা নেওয়া ভালো হতো। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির বিষয়ে, পুতিন পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তিনি শেষ পর্যন্ত অন্য দেশে পালিয়ে যেতে পারেন। এরপরেই পুতিন চিনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেছেন যে এই দুই দেশের সম্পর্ক আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। যৌথ শক্তি কাজে লাগিয়ে, সামরিক প্রজেক্টে হাত মিলিয়ে দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে কাজ করছে। যদিও রাশিয়া যে চিনের উপর খুব বেশি নির্ভর করে চলে, একথা মানতে একেবারেই নারাজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।