সংবিধান সংশোধন করে ২০৩৬ অবধি রাষ্ট্রপতি পদে থাকার পথ প্রশস্ত করছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এদিন রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষে দেওয়া একটি বক্তৃতায় পুতিন বলেন যে দেশের মানুষের প্রতি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি সচেতন। ২০২৪-এর পর তিনি রাষ্ট্রপতি থাকবেন কিনা, সেই বিষয়ে তাঁর অভিমত জানতে রাশিয়ার মানুষ উদগ্রীব বলে তিনি দাবি করেন। বর্তমানে চতুর্থবারের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন পুতিন।
২০২৪ সালে পুতিনের মেয়াদ শেষ হবে। তারপরেও তাঁকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে থেকে যেতে অনুরোধ করেছেন রাশিয়ার আইন রচয়িতারা। তাতে আপত্তি নেই পুতিনের, কিন্তু একটা শর্ত আরোপ করেছেন তিনি। এই সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দিতে হবে রাশিয়ার সাংবিধানিক আদালতকে যে রাষ্ট্রের মৌলিক আইনি কাঠামো এর ফলে লঙ্ঘিত হচ্ছে না।
গত সপ্তাহ অবধি রাষ্ট্রপতি পদে থাকার ঊর্ধ্বসীমা সরানোর পক্ষপাতী ছিলেন না পুতিন। কিন্তু আচমকাই সেই অবস্থান থেকে সরে এলেন তিনি। সাংবিধানিক আদালত ও জাতীয় ভোটের রায় যে পুতিনের এই নয়া প্রস্তাবের পক্ষে যাবে, তা কার্যত বলেই দেওয়া যায়। তাহলে ২০৩৬ সাল অবধি রাজ্যপাট সামলাতে পারবেন ৬৭ বছরের পুতিন।
দুই বারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি হতে পারবে না, ১৯৫১ সালে এই নিয়ম আনে আমেরিকা। সেই নিদর্শন তুলে পুতিন বলেন ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এটা কার্যত হালের ঘটনা। ১৯৯১-এ অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করাই সবচেয়ে বড় টার্গেট বলে জানান পুতিন। তারপরে বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে ক্ষমতার আদানপ্রদানের বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে বলেই মনে করেন তিনি।