ইউক্রেন যদি রাশিয়ায় কোনও প্রকারের হামলা চালায়, তাহলে পশ্চিমী দেশগুলির ওপর পারমাণবিক হামলা চালানোর পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে স্প্রতি সাহায্য রূপে বিপুল অস্ত্র পেয়েছে ইউক্রেন। আমেরিকা, ব্রিটেন সহ পশ্চিমী দেশগুলি থেকে এসেছে সেই সাহায্য। তবে সেই সব অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ ছিল। রাশিয়ার হামলার প্রতিহত করতেই সেই সব অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে ইউক্রেনের কাছে। তবে সম্প্রতি আমেরিকা এবং ব্রিটেন নাকি সেই নীতির পর্যালোচনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। অর্থাৎ, সাধারণ যে ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমী দেশগুলি ইউক্রেনকে দিয়েছে, সেগুলি ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানো যাবে কি না, সেই অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। আর এই আবহে পুতিন সরাসরি পশ্চিমী দেশগুলির ওপরে পারমাণবিক হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। (আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে ১০ দিনে দ্বিতীয়বার 'হামলা' মন্দিরে, লেখা হল হিন্দু বিরোধী স্লোগান)
আরও পড়ুন: পড়শি দেশ থেকে ৯০০ 'জঙ্গি' ঢুকে হামলা করবে মণিপুরের গ্রামে? ১৮০ ডিগ্রি ঘুরলেন CM
সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়ার উপর ক্রুজ মিসাইল হানা নিয়ে ইউক্রেনকে সবুজ সংকেত দিতে পারে আমেরিকা ও ব্রিটেন। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকা, ব্রিটেন ও তাঁদের মিত্র দেশের বিরুদ্ধে। বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন পুতিন। সেখানে তিনি জানান, কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশের সমর্থনে যদি কোনও দেশ রাশিয়ায় হামলা চালায়, তবে তাঁরা সেটি যৌথ হামলা বলে ধরে নেবেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন। (আরও পড়ুন: মুখে হাসি, পকেট ভারী! পুজোর আগে ৬০০০ টাকা বাড়ল এই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন)
আরও পড়ুন: রাজ্যে নিয়োগ পাচ্ছেন ১৪০৫২ শিক্ষক, মাসে মাসে কত বেতন-DA-HRA হাতে আসবে তাঁদের?
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনকে ক্রুজ মিসাইল দিয়েছে ব্রিটেন। তবে সেগুলি ব্যবহার করে আপাতত রাশিয়ায় হামলা চালাতে পারবে না ইউক্রেন। গত সপ্তাহে আমেরিকা যান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই আবহে একটি রিপোর্ট বলছে, দুই রাষ্ট্রনেতা রাশিয়ার মাটিতে ইউক্রেনের হামলা নিয়ে আলোচনা করেন। আবার কয়েকদিন আগেই আমেরিকা সফরে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেই সময় তিনি নিরবিচ্ছিন্ন সামরিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে পশ্চিমী দুনিয়াকে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের পারমাণবিক অস্ত্রের ৮৮ শতাংশ রয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছে। এর মধ্যে রাশিয়ার হাতে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা আমেরিকার থেকে বেশি বলে দাবি করা হয়। এই আবহে ব্রিটিশ ক্রুজ মিসাইল যদি রাশিয়ার মাটিতে আছড়ে পড়ে, তাহলে যে পুতিন তার জন্যে আমেরিকা-ব্রিটেনকে দায়ী করবেন, তা রীতিমতো স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।