বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতার আসর বসেছে কাতারে। তবে ফুটবল বাদে অন্য ইস্যু নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে এই বিশ্বকাপে। এই আবহে এবার কাতার সম্পর্কিত আরও এক বিতর্ক সামনে এল। ইহুদি সংগঠনগুলি অভিযোগ করেছে, বিশ্বকাপের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেদেশে ইহুদি সমর্থকদের প্রার্থনায় বাধা দিচ্ছে কাতার। পাশাপাশি ‘কোশার’ খাবারও মিলছে না সেদেশে। উল্লেখ্য, মুসলিমদের যেমন ‘হালাল খাবার’, তেমনই ইহুদিদের ‘কোশার’। এই আবহে কাতারে গিয়ে খেলা দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা পড়েছেন ইহুদি ফুটবল সমর্থকরা। এদিকে বহু দলেই ইহুদি ফুটবলারও আছেন। এই আবহে কাতারের এই দ্বিচারিতা নিয়ে সরব ইহুদি সংগঠনগুলি।
জেরুসালেম পোস্ট এবং ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, বহু ধনী ইহুদি মার্কিন বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে কাতারের এহেন দ্বিচারিতার জেরে তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা বাতিল করেন। এদিকে নিউইয়র্কের ইহুদি ধর্ম প্রচারক মার্ক শাইনার বলেন, ‘ফিফা বিশ্বকাপ সবাইে একসূত্রে গাঁথার একটি প্রতিযোগিতা।’ মুসলিম বিশ্বে তাঁর প্রভাব রয়েছে বিস্তর। তবে তাঁকে এই ‘নিষেধাজ্ঞা’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু বলে দাবি করা হয়।
এদিকে বাডওয়াইজারের সঙ্গে ফিফার চুক্তি সত্ত্বেও বিশ্বকাপের দুই দিন আগে বিয়ারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কাতার। সেই নিয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফ্যান্টিনোর যুক্তি ছিল, ‘বিয়ার না খেলে কেউ মারা যাবেন না।’ তবে এবার সরাসরি ভিনধর্মীদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ ঘিরে বিতর্কের কোনও অন্ত নেই।