রেজাউল এইচ লস্কর
ইন্দো প্যাসিফিক রিজিয়নে চিনের প্রভাব রুখতে এবার সামরিক ক্ষেত্রে বড় সহযোগিতার আশ্বাস পেল ভারত। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সামরিক ক্ষেত্রে পরিকাঠামো বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে ইন্দো প্যাসিফিক রিজিয়নের প্রসঙ্গে একাধিকবার উঠেছে।
তবে এদিন কোনও কোয়াড নেতৃত্ব সরাসরি চিনের আগ্রাসন প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি। তবে তাঁদের একাধিক পদক্ষেপ অনুসারে এটা পরিষ্কার যে বেজিংয়ের আধিপত্যা দমাতে একমত সবপক্ষই। তবে জলপথে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি,সাইবার সিকিউরিটিতে আরও শক্তিশালী হওয়ার নানা প্রকল্প রূপায়ন নিয়ে আলোচনা আখেরে চিনের আগ্রাসনকে আটকানোর অন্য়তম পথ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
উদ্বোধনী ভাষণে মোদী হিন্দিতে বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক রিজিয়নে একটি ইতিবাচক অ্য়াজেন্ডা নিয়ে কোয়াড এগোচ্ছে। একটি ভালো শক্তি হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে কোয়াড নিজেদের শক্তিশালী করছে। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোয়াড শক্তি যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাগ কাটছে তা বলাই বাহুল্য। মোদী জানিয়েই দিয়েছেন, আমাদের পারস্পরিক বিশ্বাস, আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন করে উৎসাহ যোগাচ্ছে।
পাশাপাশি মোদী জানিয়েছেন, ইন্দো প্যাসিফিক রিজিয়নে স্থিতাবস্থা প্রতিষ্ঠা করা আমাদের অন্য়তম লক্ষ্য। এদিকে বিদেশ সচিবকে বিনয় খাতরাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল চিনের বিষয়টিও কি কোয়াড মিটিংয়ে মাথায় রাখা হয়েছিল? তিনি জানিয়েছেন, একটি ইতিবাচক ও আগামী দিনের সমণ্বয়কারী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।