সদ্য দুর্গাপুজোয় হামলা করার অভিযোগে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার সেদেশের কক্সবাজারের জঙ্গলে বড় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। সেখানে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র। এই অস্ত্র কারখানার সামনে যেতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজন রোহিঙ্গাকে। এখানেই অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করে তা ডাকাতদলকে সরবরাহ করা হতো বলে খবর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে র্যাব।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গারা বসবাস করে। মায়ানমার সীমান্ত এলাকার জঙ্গলে অস্ত্র কারখানার রমরমা হয়ে উঠেছে তা টের পাননি কেউ। আজ তাঁরা গোপনে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেন। তাতেই চোখ কপালে উঠেছে। তাঁরা গিয়ে দেখেন, জঙ্গলে বিশাল বড় অস্ত্র কারখানা। প্রচুর অস্ত্র তৈরি হচ্ছে সেখানে।
র্যাব সূত্রে খবর, এই কাজে যুক্ত থাকার জন্য তিনজন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম— বাইতুল্লা, হাবিবুল্লা, মহম্মদ হাসান। অভিযুক্তরা জেরায় স্বীকার করেছে, ডাকাতদলকে সরবরাহের জন্যই অস্ত্র তৈরি করা হতো। বানাত। র্যাবের ডেপুটি কমান্ডিং অফিসার মেজর মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছিলাম, জঙ্গলে প্রচুর অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। তার ভিত্তিতে আজ অভিযান চালাই। তিনজনকে গ্রেফতার করার পর জানতে পারি, তারা সমাজবিরোধীদের অস্ত্র সরবরাহ করত।’
এই অস্ত্র কারখানার পিছনে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে র্যাব। এই অস্ত্র কারখানা থেকে কোথায় কোথায় অস্ত্র সরবরাহ করা হতো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই এত বড় অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বাংলাদেশের এই অস্ত্র কারখানা নিয়ে এখন জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।