ভাং খেয়ে বিধানসভায় আসেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেত্রী রাবড়ি দেবী। অন্যদিকে, নীতীশ কুমার বিধানসভায় তাঁর মা তথা রাবড়ি দেবীকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব।
আরও পড়ুন -Hyderabad: হস্টেলের খাবারে ব্লেড! পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাবড়ি দেবী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ভাং খেয়ে বিধানসভায় আসেন। বিধানসভায় হাজির হয়ে নীতীশ কুমার মহিলাদের অপমান করেন। প্রত্যেক মহিলার মতো নীতীশ তাঁকেও অপমান করেছেন বলে অভিযোগ করেন রাবড়ি দেবী। এসবের পাশাপাশি লালু-পত্নী আরও বলেন, তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন কী ধরনের কাজ হয়েছে, সেটা একবার দেখুন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, নীতীশের দলের কিছু মানুষ এবং কিছু বিজেপির নেতা যা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে সেই একই বাক্য শোনা যায় বলে অভিযোগ করেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী। একইসঙ্গে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে নীতীশ কুমারের পদত্যাগ করা উচিত।
অন্যদিকে লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব বলেন, 'নীতীশ কুমারের জন্য আমার করুণা হচ্ছে। আমরা ঈশ্বরের কাছে তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি। বিধানসভায় নীতীশ কুমারের মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তিনি স্বাভাবিক নন। আমার মনে হয় এখনই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। সংসদে তিনি অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করছেন। তিনি রাবড়ি দেবীকে কপালে বিন্দি (টিপ) লাগানোর জন্য ইঙ্গিত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত করে জিজ্ঞাসা করেছেন, 'আপনি বিন্দি কেন পরছেন?' বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, 'আমি হাউস থেকে সেই ভিডিয়ো চাই। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী শীলা মণ্ডল নামে একজন মন্ত্রীর বিন্দি নিয়ে মন্তব্য করছিলেন। নীতীশ কুমার বলেছেন যে তিনি লালুপ্রসাদ যাদবকে তৈরি করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোনও তুলনা নেই। মুখ্যমন্ত্রী পরপর নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন। আমার বাবা ১৯৭৭ সালেই সাংসদ হয়েছিলেন। আরজেডি সমর্থন না দিলে নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। এবার তাঁর আশ্রমে যাওয়া উচিত, কারণ তিনি সরকার চালাতে পারছেন না। ১৪ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি কী করছেন? নীতীশ কুমার স্থিতিশীল নন।'
আরও পড়ুন -Hyderabad: হস্টেলের খাবারে ব্লেড! পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
নীতীশ কুমার সরকারের সমালোচনা করে তেজস্বী যাদব বলেছেন, বিহারে অপহরণ ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলি মারাত্মকভাবে ঘটছে। নীতীশ কুমার অপরাধীদের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি নিজের বিবেক হারিয়ে ফেলেছেন, তাঁকে মনে করিয়ে দিতে চাই, নীতীশ কুমার এবং লালুপ্রসাদ যাদবের মধ্যে কোনও তুলনা হয় না।