ভোজ্য তেল তৈরিতে পাম গাছ এ রাজ্যে চাষ করার জন্য চুক্তিচাষে বিনিয়োগ করতে চাইছে পতঞ্জলি। শীঘ্রই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন পতঞ্জলির রামদেব। মঙ্গলবার এমনটাই বলেছেন পতঞ্জলির কর্ণধার রামদেব। তাঁর দাবি, স্বল্পমেয়াদী ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের বাজারে দেশের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে চাইছে পতঞ্জলি। সে কারণে দেউলিয়া আইনের আওতায় রুচি সোয়াকে কিনে নিয়েছে পতঞ্জলি।
একইসঙ্গে রামদেবের দাবি, রুচি সোয়ার বার্ষিক আয় ১৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবার বাজারে শেয়ার ছেড়ে ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা তুলতে সেবির সাহায্য চেয়েছেন তারা। যার ৬২ শতাংশ ঋণ মেটাতে খরচ হবে। বাকি অর্থ ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ব্যবহার করা হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে রুচি সোয়াকে ঋণমুক্ত করাই পতঞ্জলির লক্ষ্য।
সেজন্য তাঁদের কেনা ওই সংস্থার মাধ্যমে দেশে পাম তেল তৈরি করতে গাছ লাগানোর উপর জোর দিয়েছে এই আয়ুর্বেদিক পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে এই চাষ শুরু করে দিয়েছে পতঞ্জলি। এবার তাঁদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। পাম গাছ চাষ করতেই এ রাজ্যে চুক্তি চাষে বিনিয়োগ করতে চাইছে তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে রুচি সোয়ার সিইও সঞ্জীব আস্তানা বলেন, ‘চুক্তি চাষের মাধ্যমে এই গাছ লাগানো হবে। ইতিমধ্যে ৯’টি রাজ্যে ৫৪,০০০ হেক্টর জমিতে এই চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে। আরও দু’লক্ষ হেক্টর জমিতে পাম গাছের চাষ যাতে শুরু করা যায়, সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি আমরা। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গকে বাছার পরিকল্পনা রয়েছে।’ সঞ্জীবের দাবি, এই ধরনের চাষে প্রতি হেক্টরে বছরে দু’লক্ষ টাকা করে আয় করতে পারবেন কৃষকেরা।