সকালে উঠেই কি এফএমটা চালিয়ে দেন? অফিসে যাওয়ার পথে ট্র্যাফিক জ্যামে বা কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু মিউজিকাল ব্রেকের জন্যেও সঙ্গী থাকে এফএম স্টেশনগুলি? প্রিয় রেডিয়ো জকিদের দেওয়া রিলেশনশিপ অ্যাডভাইস থেকে ফিল্ম রেকো, সবই ফলো করেন খুঁটিয়ে? সমস্যা হল, আপনার প্রিয় এফএম স্টেশনগুলি এখন ধুঁকছে। করোনার জেরে স্তব্ধ অর্থনীতির দরুণ কার্যত ভেন্টিলেটরে বেসরকারি এফএম স্টেশনগুলি। মূলত বিজ্ঞাপনের অভাবে বেহাল হচ্ছে বেতার। এখনই প্রয়োজন সরকারি সাহায্যের।
Association of Radio Operators for India (AROI), বেসরকারি এফএম চ্যানেলদের একটি সংগঠন সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে ‘সাপোর্ট প্যাকেজের’ জন্য। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে লেখা একটি চিঠিতে AROI এক বছরের জন্য লাইসেন্স ফি ও অন্যান্য চার্জ যেগুলি সরকার ও প্রসার ভারতী নেয়, সেগুলিকে মুকুব করার আর্জি জানিয়েছে। একই সঙ্গে আবেদন করেছে এফএম চ্যানেলে সরকারি অ্যাড পুনরায় দেওয়ার জন্য। DAVP, NFDC ও BSNL-এর থেকে যে বকেয়া টাকা পায় এফএম চ্যানেলগুলি, সেগুলি দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের জন্য যে নিয়ামক অর্থ দিতে হবে, সেটি যাতে বাদ দেওয়া যায়, সেই অনুরোধও জাভড়েকরের কাছে করা হয়েছে।
প্রত্যুত্তরে মন্ত্রক জানিয়েছে যে লাইসেন্স ফি দেওয়ার সময় আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেওয়া হল। এর জন্য কোনও অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে না। কিন্তু AROI জানিয়েছে যে এত কম সাহায্যে কিছু কাজের কাজ হবে না। হাতে টাকার জোগান না থাকায়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও মাইনে কমানো ও কর্মী সংকোচনের পথে হাঁটতে হয়েছে অনেক সংস্থাকে।
এর প্রভাব সংগীত শিল্পের ওপরেও পড়বে বলে সতর্ক করেছে রেডিয়ো শিল্পের সঙ্গে যুক্ত পেশাদাররা। এপ্রিলে রাজস্ব কমেছে ৮০ শতাংশ, মে মাসে ৯০ শতাংশ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থবর্ষের প্রথম দুই মাসেই ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরকারের সাহায্য এখন একান্তই দরকার যাতে আপনার প্রিয় রেডিয়ো জকিরা আপনাদের মনোরঞ্জন করে যেতে পারে।