দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আতঙ্ক। সিটিস্ক্যান এবং বায়োমার্কারও করা হচ্ছে ভীষণভাবে। এই নিয়েই দেশবাসীকে সতর্ক করেছিলেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। এরপরই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এবার এইমস প্রধানের সিটিস্ক্যান সংক্রান্ত উক্তিকে উড়িয়ে দেন রেডিওলজিস্টরা।
এদিন 'রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া'র তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, সিটিস্ক্যান নিয়ে এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়ার মনোভাব আদ্যিকালের। পাশাপাশি চিকিত্সকদের এই সংগঠনের তরফে জানানো হয়, করোনার মিউটেশনের জেরে আরটি-পিসিআর-এও ধরা পরছে না সংক্রমণ। তাই রোগ নির্ণয় করতে সিটিস্ক্যান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছিলেন, 'সিটি স্ক্যান ও বায়োমার্কারের ভুল ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি কারও শরীরে সামান্য কিছু উপসর্গ থাকে, তাহলে সিটি স্ক্যান করে কোনও লাভ হয় না। একটি সিটি স্ক্যান ৩০০টি এক্স রে করার সমান। এটি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ।'
গুলেরিয়া দাবি করেছিলেন, গুলেরিয়া বলেন, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশন অ্যান্ড মেডিসিনের তথ্যে বলা হয়েছে ঘন ঘন সিটিস্ক্যান করলে পরে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সেই দাবির পরই এবার পাল্টা দাবি করলেন ভারতের রেডিওলজিস্টদের সংগঠন।