সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলা অফিসারদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এই বিষয়ে টুইটারে রাহুল মন্তব্য করেন, ‘পুরুষদের তুলনায় নিকৃষ্ট হওয়ার কারণে মহিলা অফিসাররা নির্দেশদায়ী পদ পাওয়ার যোগ্য নন বলে সুপ্রিম কোর্টে প্রত্যেক নারীর অপমান করেছে সরকার। এই মানসিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকারকে ভুল প্রমাণ করার জন্য ভারতের মহিলাদের অভিনন্দন জানাই।’
শীর্ষ আদালতের রায়ের প্রশংসা করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায় মহিলাদের নতুন ডানা দিল। আর নারী-বিরোধী বিজেপি সরকার যুতসই জবাব পেল।’
সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর মহিলা অফিসারদের স্থানীয় নিয়োগের ব্যবস্থা করুক সরকার। ২০১০ সালে সেনাবাহিনীতে মহিলা অফিসারদের স্থানী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়সেই আবেদন খারিজ করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলা অফিসারদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সরকার যেন তার মনোভাব পরিবর্তন করে। এই বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে পদক্ষেপ করতে সরকারকে তিনি নির্দেশও দিয়েছেন।
অন্য দিকে, রাহুল-প্রিয়াঙ্কার পথেই এ দিন সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ শিরোপা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, মিলিটারি পুলিশে মহিলা সদস্য অন্তর্ভুক্তির কথা এর আগেই জানিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
রাজনাথের আরও দাবি, ২০১৯ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১০টি শাখাতেই মহিলাদের স্থানীয় নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছিস প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর মধ্যে ছিল সিগন্যাল কর্পস, ইনটেলিজেন্স, এভিযেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং, সার্ভিস কর্পস ও অর্ডিন্যান্স কর্পস।