মহিলাদের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিজেপির অবস্থান নিয়ে ফের সরব হলেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই স্বাধীনতার ৭৫ বছরের পূর্তি অনুষ্ঠানে বিলকিস বানোর গণধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে দেশ জুড়ে শোরগোল হচ্ছে। সরব হয়ছেন রাহুল গান্ধীও। গুজরাতের ভয়াবহ হিংসার সময়ের ওই ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে জেলমুক্তি দেওয়া হয়েছে গুজরাতের এক বিশেষ আইনের আওতায়। এরপরই সরব হন রাহুল গান্ধী।
ধর্ষণ মামলা ইস্যুতে এক টুইটে রাহুল নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি প্রশ্ন করেন যে, দলের এই অবস্থানে আপনি কি ‘লজ্জিত’ নন? উন্নাও, কাঠুয়া, হাথরাস, গুজরাত এই সমস্ত জায়গা থেকে দেশে একাধিক সময়ে হাড়হিম করা ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসে। সেক্ষেত্রে বারবার নারী নির্যাতন ইস্যুতে বিজেপি নেতা মন্ত্রী থেকে কর্মীর নাম অভিযুক্তের তালিকায় উঠে আসে। বিভিন্ন ঘটনায় দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিনের টুইটে রাহুল লেখেন, ‘ উন্নাওতে বিজেপি বিধায়ককে বাঁচানোর চেষ্টা। কাঠুয়ায় ধর্ষণে অভিযুক্তের সমর্থনে মিছিল। হথরাসে ধর্ষণে অভিযুক্তদের পক্ষে সরকার। গুজরাতে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হল আর সম্মান দেওয়া হল।’ ২৫ লাখ বাইরের ভোটার কাশ্মীরে পিছনের দরজা দিয়ে আনছে বিজেপি: মেহবুবা মুফতি
এদিকে, গুজরাতের দাঙ্গায় বিলকিস বানোর গণধর্ষণকে কেন্দ্র করে যে ১১ জন মুক্তি পেয়েছে সেই মুক্তি নির্ধারমে গঠিত রিভিউ প্যানেলে বিজপি নেতা ছিলেন বলে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন পি চিদাম্বরম। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম তুলে ধরেছেন সিকে রালোজি ও সুমন চৌহানের প্রসঙ্গ। উল্লেখ্য, সদ্য স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে নারী সম্মান নিয়ে রীতিমতো গর্জে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই জায়গা থেকে রাহুল গান্ধীর খোঁচার নিশানায় ক্রমাগত রয়েছেন মোদী।