কংগ্রেসের নীতিতে বলা, মদ্যপান করা যাবে না। সদস্যপদ গ্রহণের নয়া ফর্মেও উল্লেখ করা রয়েছে বিষয়টি। তবে কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা কতটা এই নিয়ম অনুসরণ করেন? সেই প্রশ্নের জবাব জানতেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করেছিলেন, 'আপনাদের মধ্যে কারা মদ্যপান করেন?' এররপরই অস্বস্তীতে পড়েন নেতা-কর্মীরা। তবে পঞ্জাব কংগ্রেসের নেতা নভজ্যোত সিং সিধু অকপট জবাব দেন রাহুলকে।
রাহুল গান্ধীকে সিধু কোনও রাগঢাক না করেই বলেন, 'আমার রাজ্য পঞ্জাবে প্রায় সকলেই মদ্যপান করেন।' জবাব শুনে রাহুল গান্ধী আর বেশি কথা বাড়াননি এই বিষয়েছ। তাতে ফের স্বস্তি ফেরে কান লাল হয়ে যাওয়া নেতাদের মধ্যে। উল্লেখ্য, আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে চলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে এদিন এক জরুরি বৈঠক ডাকেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। সেই বৈঠকে রাহুলও উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণের কর্মসূচি শুরু হবে। যা চলবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে যাঁরা কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করবেন, তাঁদের জন্য একগুচ্ছ নয়া শর্ত নির্ধারণ করেছে কংগ্রেস। তাতে বলা হয়েছে, যাঁরা কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইবেন, তাঁদের ব্যক্তিগত স্তরে ১০ টি ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে। ঘোষণাপত্রে মদ্যপান না করার বিষয়টিও রয়েছে।