সৌভদ্র চ্যাটার্জি, ফয়জল মালিক
এবার আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একেবারে জোরালো আক্রমণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। ইন্ডিয়া জোটের মিটিংয়ের আগে এনিয়ে মুখ খুলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, নিজেদের শেয়ারের দাম বেশি করে দেখানোর জন্য কেন প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ওই ভদ্রলোককে এত বিলিয়ন ডলার সরানোর অনুমতি দেওয়া হল? ভারতের বিমানবন্দর ও জলবন্দরগুলিকে এভাবে দখল করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? এনিয়ে কেন কোনও তদন্ত হচ্ছে না? কমপক্ষে একটা যৌথ সংসদীয় কমিটিকে অনুমতি দেওয়া হোক। এনিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা খুব দরকার।
সামনেই জি-২০ সামিট। তা নিয়েও মুখ খুলেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, জি-২০ নেতৃত্ব তো এবার এনিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। কংগ্রেসের যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি কেন মানা হচ্ছে না?
কিন্তু ১৯৯২ সালের হর্ষদ মেহেতা স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারিতে এই জেপিসি কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছিল।
রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না প্রধানমন্ত্রী কেন তদন্তের ব্যাপারে চাপ দিচ্ছেন না? তিনি কেন এরকম শান্ত হয়ে রয়েছেন। তিনি কেন বলছেন না যে নিশ্চিতভাবে তদন্ত হবে? ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। ইডি আর সিবিআই কেন আদানি কেলেঙ্কারির তদন্তে নামছে না?
তিনি বলেন, জি-২০ লিডাররা তো এসে বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই ভদ্রলোকের কীসের সম্পর্ক যে তাঁকে এভাবে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে?
তবে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা নিয়ে আগেই নস্য়াৎ করে দিয়েছিল আদানি গ্রুপ।
এদিকে এর আগেও আদানি ইস্যুতে সংসদের অভ্যন্তরে বার বার মুখ খুলেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল বলেন, এখন আবার বলা হচ্ছে জি-২০। জি ২০ হল গোটা বিশ্বে ভারতের পজিশন। তবে আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটা স্বচ্ছতা থাকা দরকার।
ফিনান্সিলায় টাইমস আর দ্য গার্জিয়ানের কপি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিলিয়ন ডলার ভারত থেকে চলে যাচ্ছে। আবার সেটা ভারতে ফিরে আসছে। প্রথম প্রশ্ন কার টাকা এসব? এটা আদানির নিজের টাকা নাকি অন্যের টাকা? দ্বিতীয় প্রশ্ন হল বিনোদ আদানির ভূমিকা কী? তিনি মাস্টারমাইন্ড। নাসের আলি আর চিনের নাগরিক চ্যাং চুং লিং কে? কোনও কোম্পানির মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এই বিদেশিদের কেন অনুমতি দেওয়া হল? সেপ্টেম্বরে সংসদে একটাই ইস্যু, আদানি নিয়ে জেপিসি তদন্ত। বললেন রাহুল।