২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দু'টি আসন থেকে লড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। দু'টি আসনেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ওয়ানাড়ের আসনটি ছেড়ে দিয়ে রায়বরেলির সাংসদ হিসেবে থেকে গিয়েছেন। তবে এই দুই আসনে ভোটে লড়তে রাহুলকে কত টাকা দিয়েছিল কংগ্রেস? নির্বাচন কমিশনকে সেই সংক্রান্ত তথ্য দিল কংগ্রেস। আর তাতেই জানানো হয়েছে, এক একটি আসনে লড়তে রাহুল গান্ধীকে ৭০ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের তরফ থেকে। এই আবহে সব মিলিয়ে রাহুলকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিল দল। (আরও পড়ুন: বন্ধ থাকবে পাসপোর্ট পোর্টাল, পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে সব অ্যাপয়েন্টমেন্ট)
আরও পড়ুন: 'এরা বিচার চায় না', RG কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দিকে আঙুল মমতার?
আরও পড়ুন: চরমে সংকট, ১৫০ কেবিন ক্রু-কে টাকা না দিয়ে বসিয়ে দিল ভারতের এই উড়ান সংস্থা
এদিকে লোকসভায় আসনের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ অর্থ সাহায্য পাওয়া নেতা কিন্তু রাহুল গান্ধী নন। হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করা বিক্রমাদিত্য সিংকে দল ৮৭ লাখ টাকা দিয়েছিল। তবে বিজেপির তারকা প্রার্থী কঙ্গনার কাছে বিক্রমাদিত্য হেরে গিয়েছিলেন। এদিকে ভোটের লড়াই করার জন্যে ৭০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরী লাল শর্মাও। তিনি স্মৃতি ইরানিকে হারিয়েছেন। এদিকে কেসি বেণুগোপাল, মণিকম ট্যাগোর, রাধাকৃষ্ণা, বিজয় ইন্দর সিংলারাও ৭০ লাখ টাকা করে পেয়েছিলেন নির্বাচনে লড়াই করার জন্যে। (আরও পড়ুন: আরজি কর চিকিৎসক খুনের তদন্তে চাঞ্চল্যকর বেনিয়মের তথ্য, আঙুল সেই রাজ্যের দিকেই)
আরও পড়ুন: একধাক্কায় ৯০০ টাকা কমল রুপোর দাম, তবে শহরে আজ রেট বাড়ল সোনার
আরও পড়ুন: হবে প্রবল বৃষ্টি, সাগরে তৈরি হচ্ছে 'অস্বাভাবিক' ঘূর্ণিঝড়, জানিয়ে দিল IMD
এদিকে দলের ফান্ডের থেকে ভোটে লড়াই করার জন্যে আনন্দ শর্মা পেয়েছিলেন ৪৬ লাখ টাকা। তাছাড়া দিগ্বিজয় সিংকে দলের ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। তবে এই দুই বর্ষীয়ান নেতারাই নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে ২০২২ সালে নির্বাচনে খরচের সীমা বাড়ানো হয়েছিল। সেই সময় এক একটি লোকসভা আসনে লড়াই করার জন্যে প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন বলে জানায় সরকার। এর আগে সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৭০ লাখ। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সেই সীমা বাড়ানো হয়েছিল। এদিকে এর আগে বিধানভা ভোটে লড়তে আসন পিছু ২৮ লাখ টাকা খরচ করা যেত। ২০২২ সালে তা বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে বর্তমানে আবার সেই সীমায় বদল এসেছে। বর্তমানে বড় রাজ্যে লোকসভা ভোটে লড়তে আসন পিছু ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করা যাবে। এবং ছোট রাজ্যের ক্ষেত্রে সেই সীমাটা ৭৫ লাখ টাকা।