ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এই আবহে আদলতে মামলা করা হয়েছিল কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার আদালতে তলব করা হয়েছে লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন সময়ে নাকি সেনাবাহিনীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এই আবহ বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তবের হয়ে আইনজীবী বিবেক তিওয়ারি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রাহুলের বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: 'গোটা দেশের শিল্পের ২৪ শতাংশ একসময়ে ছিল পশ্চিমবঙ্গে, এখন তা...', বড় দাবি নির্মলার)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জারি 'আওয়ামি নির্মূল অভিযান', ৪ দিনে ক'জন 'ডেভিল' ধরল ইউনুসের সরকার?
এই মামলায় তিওয়ারি দাবি করেছেন যে ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সম্পর্কে রাহুল গান্ধী ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে যে মন্তব্য করেছিলেন তা অবমাননাকর এবং ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তাতে মানহানি হয়েছে। এই আবহে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক ভার্মা ২৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করে বলেন, রাহুল গান্ধীকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে রাহুলকে হাজির হতে হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে হারাতে চাঁদা দেওয়া ইউনুস এখন মার্কিন সাহায্যের জন্যে হা-হুতাশ করছেন!)
এদিকে এর আগে ২০১৮ সালের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কে রাহুলের আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ। তার জন্য লোকসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আরও একটি মানহানির মামলার শুনানি হয় বিশেষ আদালতে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। আদালত অভিযোগকারীকে মামলায় প্রাসঙ্গিক প্রমাণ উপস্থাপনের নির্দেশও দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে এই মামলা একাধিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলেও রাহুল গান্ধী আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। পরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পরোয়ানা জারির পর অবশেষে আদালতে হাজিরা দেন রাহুল গান্ধী। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস নেতা সমন মেনে নেন এবং স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রায়বরেলির সাংসদ দাবি করেছেন যে তিনি এই অভিযোগে দোষী নন এবং মামলাটি তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে করা হয়েছে। এর আগে ফৌজদারি মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনতে হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। গুজরাটের আদালেতর সেই রায়ে সাংসদ পদ হারাতে হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। পরে অবশ্য তিনি নিজের সাংসদ পদ ফিরে পেয়েছিলেন। তবে ফের নিজের মন্তব্যের জন্যে আইনি জটিলতায় পড়লেন রাহুল গান্ধী।