বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Rahul Gandhi on defaming India: 'বিদেশের মাটিতে কখনও ভারতকে অসম্মান করিনি', লন্ডনে দাবি রাহুল গান্ধীর

Rahul Gandhi on defaming India: 'বিদেশের মাটিতে কখনও ভারতকে অসম্মান করিনি', লন্ডনে দাবি রাহুল গান্ধীর

লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় রাহুল গান্ধী  (Congress Twitter)

রাহুল বলেন, 'আমার কেমব্রিজের বক্তৃতায় ভারতকে হেয় করার মতো কিছুই বলিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে স্বাধীনতার ৭০ বছরে কিছুই করা হয়নি। তিনি বলেছিলেন যে ১০ বছরে ভারতে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে এবং দেশ একটি দশক হারিয়েছে। এসব তিনি ভারতে বলেন না। এসব কথা তিনি বিদেশে বলেছেন।'

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশে। বিজেপি অভিযোগ করছে, বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দেশের সম্মানহানী করছেন রাহুল গান্ধী। এই আবহে এবার লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় রাহুল গান্ধী নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই 'অভিযোগ' অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'আমি বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে কখনও ভারতকে অসম্মান করিনি।' রাহুল বলেন, 'আমার কেমব্রিজের বক্তৃতায় ভারতকে হেয় করার মতো কিছুই বলিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে স্বাধীনতার ৭০ বছরে কিছুই করা হয়নি। তিনি বলেছিলেন যে ১০ বছরে ভারতে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে এবং দেশ একটি দশক হারিয়েছে। এসব তিনি ভারতে বলেন না। এসব কথা তিনি বিদেশে বলেছেন।' (আরও পড়ুন: 'সোরোসকে বলতে হবে না...' মোদী বিরোধী মার্কিন ধনকুবেরকে নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল)

রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমি কখনও আমার দেশের অপমান করিনি। সেটা করতেও আমি আগ্রহী নই এবং আমি কখনই তা করব না। অবশ্য বিজেপি আমার কথাকে ঘুরিয়ে পরিবেশন করতে পছন্দ করে। তা ঠিক আছে। এবং মিডিয়া টিআরপির কারণে আমার কথা সেভাবে তুলে ধরতে পছন্দ করে। কিন্তু ঘটনা হল, যে ব্যক্তি বিদেশে গিয়ে ভারতের মানহানি করেন, তিনি হলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।' এদিকে লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় রাহুল গান্ধী বিবিসি ইস্যুটি তুলে ধরেন। বলেন, 'ভারতে যেভাবে কণ্ঠরোধ চলছে, বিবিসির ঘটনা সেটারই উদাহরণ। এটার সঙ্গে আদানির ঘটনারও মিল রয়েছে। এটা কতকটা ঔপনিবেশিক।' উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে তোলপাড় হয়েছে দেশের রাজনীতি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলি এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করলে তা নিয়েও অশান্তি হয়েছে। এই আবহে রাহুল গান্ধীকে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের সমীক্ষা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'যেখানেই দেশে বিরোধের সূর শোনা গিয়েছে, সেখানেই একটা অজুহাতও গড়ে উঠেছে। আমি যে যাত্রাটি করেছিলাম, সেটা মুক্তকণ্ঠকে উৎসাহিত করার জন্য ছিল. কারণ দেশে সর্বত্র কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এরই এক উদাহরণ হল বিবিসি।' রাহুল গান্ধী বলেন, 'বিবিসি যদি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ করে দেয়, তাহলে সব আমার আগের জায়গায় ফিরে যাবে। সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।'

কংগ্রেস নেতা বলেন, 'কণ্ঠরোধ করার এই প্রবণতা গত ৯ বছর ধরে অনবরত চলছে। সাংবাদিকদের ধমকি দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি এই সরকারের থেকে অন্য কিছু আশা করি না। বিবিসি আজ যদি সরকার বিরোধী খবর পরিবেশন বন্ধ করে দেয়, তাহলে সব আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এটাই নতুন ভারতের ধারণা। বিজেপি ভারতকে বাকরুদ্ধ করে রাখতে চায়। বিজেপি ভারতের জনগণকে চুপ রাখতে চায় যাতে সেই সুযোগে তারা দেশের সব সম্পদ তাদের বন্ধুদের হস্তগত করতে পারে।' 

বন্ধ করুন