জি ২০ নৈশভোজে আমন্ত্রিত নন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা সুর চড়িয়েছে। এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। প্রবাসীদের সঙ্গে জনসংযোগ করতে সপ্তাহব্যাপী ইউরোপ সফরে রয়েছেন তিনি। সেখানে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে খাড়্গেকে না ডাকা নিয়ে রাহুল বলেন, 'দেশের ষাট শতাংশ মানুষের নেতাকে তারা কোনও গুরুত্বই দেয় না।'
ব্রাসেলস প্রেস ক্লাবে দেওয়া ভাষণে রাহুল কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, 'একদল লোক দেশে চালাচ্ছে, তাদের হাতে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো আক্রান্ত। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এমন কিছু পদক্ষেপ করা হচ্ছে যা গুরুতর কিছু সমস্যা তৈরি করছে।'
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু ৩৭০ ধারা বিলোপ, সব বিষয় নিয়েই তাঁর মত প্রকাশ করেছেন।
(পড়তে পারেন। জলে, স্থলে, আকাশে কড়া নজরদারি, মোতায়েন যুদ্ধবিমান, জি-২০ তে নজরকাড়া সুরক্ষা)
(পড়তে পারেন। হাসিমুখে সাক্ষাৎ, হাসিনার সঙ্গে বৈঠক সারলেন মোদী)
তিনি দাবি করেন, 'ভারতে দলিত, উপজাতি ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়মিত হামলার শিকার হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রকৃতির পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। আসলে বিজেপি চায় সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হোক।'
রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে খাড়্গেকে আমন্ত্রণ না করা নিয়ে তিনি বলেন, 'বিরোধী দলের নেতাকে ওরা আমন্ত্রণ করেনি। এটা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয় যে দেশে ৬০ শতাংশ মানুষের নেতাকে ওরা গুরুত্ব দেয় না। জনগণকে ভাবতে হবে কেন এমন করছে ওরা? এর পিছনে কী কারণ আছে?' তবে জি ২০-র আয়োজন নিয়ে তাঁর মত, এই ধরনের সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এবার যে আয়োজন করেছে, তা খুব 'ভাল বিষয়'।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাও মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি ক্য়াবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা পান। জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি সরকারের অবস্থানের সঙ্গেই একমত পোষণ করেন। রাহুল বলেন,'আমি মনে করি, বিরোধীরা, সাধারণভাবে ভারতের বর্তমান অবস্থানের সঙ্গে একমত হবে। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি না যে সরকারের অবস্থানের থেকে বিরোধীদের আলাদা অবস্থান রয়েছে।'