রাজ্যে বামফ্রন্ট–আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল কংগ্রেস। একুশের নির্বাচনে এই জোটকে বলা হয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু এত পরিকল্পনা করেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। এমনকী বিজেপিও ১০০ আসন টপকাতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে মোদী–শাহের রথ আটকে দিয়েছেন বাংলার তৃণমূল সুপ্রিমো। এখন তাই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তিনিই বিরোধী মুখ। তাই বিজেপিকে পরাজিত করতে পারায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি? প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি লিখেছেন, ‘আমি খুব খুশির সঙ্গে মমতাজি এবং বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ তাঁরা ব্যাপকভাবে বিজেপিকে পরাজিত করেছেন।’ আবার বাংলা জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা করলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। একুশের ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সবটা করেছিল, নির্বাচন কমিশন সাহায্য করেছিল। তা সত্ত্বেও দুই–তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন মমতাজি। তিনি ঝাঁসি কি রানি।’
এই অভিনন্দন পেয়ে আপ্লুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি পাল্টা টুইট করে লেখেন, ‘ধন্যবাদ রাহুলজি। আপনার উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য। বাংলার মানুষ গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছে। বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতি ভারতবর্ষ থেকে দ্রুত পাততাড়ি গোটাবে।’ আগামী ২০২৪ সালে ফের লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই কথোপকথন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ শুধু রাহল গান্ধী নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতারা ফোন করে বাহবা দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ হবে। সেখানে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা আসবেন বলে সূত্রের খবর।