সেনাবাহিনীতে আধিকারিক ও সাধারণ সৈন্যদের খাবারে বৈষম্য নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, পদমর্যাদা বিচার করে খাদ্যে পুষ্টি নির্ধারণের নীতি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রতিরক্ষা নিয়ে সংসদীয় বৈঠকে প্রথম বার অংশগ্রহণ করে সৈন্যদের উন্নত মানের খাদ্য, পোশাক-সহ অন্যান্য দাবির সমর্থনে শনিবার মুখ খোলেন রাহুল। বিশেষ করে সীমাম্ত অঞ্চলে মোতায়েন থাকা সেনা সদস্যদের স্বার্থে সেনাবাহিনীতে প্রচলিত ‘অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ নিয়মের পর্যালোচনা দাবি করেন কংগ্রেস নেতা।
এ দিনের বৈঠকে অবশ্য পূরক্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ ওঠেনি, কারণ বিজেপি নেতা জুয়াল ওরাম বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ‘নিরাপত্তাবাহিনীতে খাদ্য ও পোশাকের মান পর্যালোচনা ও ব্যবস্থা’ থেকে একচুল নড়তে চাননি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত।
যদিও বৈঠকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে আলোচনার দাবি তুলেছিলেোন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
বৈঠকে উপস্থিত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, সামরিক আধিকারিকরা সেনাবাহিনীতে জওয়ানদের পাউরুটি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এবং াধিকারিকদের দেওয়া খাবারের সঙ্গে সাধারণ সৈন্যের খোরাকিতে আগে ফারাক বজায় রাখা হত জানানোর পরেই মুখ খোলেন রাহুল।
রাহুল বলেন, সেনাবাহিনীতে আধিকারিক ও জওয়ানদের খাদ্যে বৈষম্যমূলক নীতি আগেই দূর করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, সাধারণ সৈন্যদের আধিকারিকদের চেয়ে উন্নত বা সমমানের খাদ্য সরবরাহ করা উচিত। সৈন্যদের কম পুষ্টি জোগানোর নীতিকে তিনি ‘অনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেন।
জবাবে সেনা কর্তারা ব্যাখ্যা করেন যে, খাবারের পুষ্টিগত মানে তফাৎ থাকে না। তবে আধিকারিক ও জওয়ানদের খাবারের পদে ফারাক থাকে।
উল্লেখ্য, এর আগে সংসদীয় কমিটিতে ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। পরে মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করায় ২০১৯ সালে তাঁকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি।