সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই কেন্দ্র বাধ্যতামূলক করেছে আরোগ্য সেতু অ্যাপ। কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যেমে এই অ্যাপ বলে দেবে আপনার চারিপাশে কোনও করোনা রোগী আছে কিনা। কন্টেনমেন্ট জোনেও এই অ্যাপ ব্যবহার করা আবশ্যিক করেছে সরকার। কিন্তু এতেই আপত্তি বিরোধীদের। এই অ্যাপের মাধ্যমে সরকার জনতার ওপর আড়ি পাতবে, দাবি কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের। বিজেপি যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন যে আরোগ্য সেতু অ্যাপ আসলে একটি অত্যাধুনিক আড়ি পাতার যন্ত্র। বেসরকারি একটি সংস্থা এটি চালাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন ও সেটির ওপর নজরদারি করার কেউ নেই। এর ফলে তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে বলে টুইট করেন রাহুল। মানুষের সম্মতি ছাড়াই তাদের তথ্য নিয়ে নিচ্ছে সরকার, দাবি কংগ্রেস নেতার।
এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসিও এই অ্যাপকে অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে বর্ণনা করেছেন। তার কথায়, দিল্লির সুলতানদের ফরমান এসেছে, তাই সকলকে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হচ্ছে।
তবে যাবতীয় উদ্বেগ উড়িয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। আইটি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন যে এতে ডেটা সিকিউরিটির জন্য মজবুত প্রযুক্তি আছে। বেসরকারি কোনও অপারেটরকে দেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে গান্ধী পরিবারকে একহাত নিয়ে রবিশংকর প্রসাদ বলেন যে সারা জীবন যারা আড়ি পাতল, তারা কী জানে প্রযুক্তি কিভাবে ভালো কাজে লাগানো যায়।
প্রকাশ জাভড়েকর বলেন যে আগামী ১-২ বছর এই অ্যাপের ব্যবহার করতে হবে ধারেকাছে কেউ করোনা পজিটিভ আছেন কিনা, সেটা জানতে।
সরকারি ও বেসরকারি, উভয় ক্ষেত্রেই অফিসে কর্মীদের এই অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে, বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মোদী সরকার। সংস্থার প্রধানকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে সবাই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ব্যবহার করছে। এছাড়াও কন্টেনমেন্ট জোনে বাধ্যতামূলক ভাবে প্রতিটি মানুষের কাছে থাকতে হবে আরোগ্য সেতু।
ব্লু-টুথ ও জিপিএস ব্যবহার করে এই অ্যাপ বলে দেয় আপনি এমন কোনও ব্যক্তির ধারেকাছে এসেছিলেন কিনা যিনি করোনা আক্রান্ত। বর্তমানে প্রায় ৫ কোটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা আছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কম করে ২০ কোটি মানুষের কাছে এই অ্যাপ না থাকলে এটার সুফল পাওয়া যাবে না।