গতকালই ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস। আর আজই সিআরপিএফ-এর থেকে অভিযোগ করা হল, রাহুল গান্ধী বারংবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেন। সিআরপিএফ-এর অভিযোগ, ২০২০ সাল থেকে এই পর্যন্ত ১১৩ বার বিভিন্ন নিয়ম ভেঙেছেন রাহুল গান। প্রসঙ্গত, গোটা গান্ধী পরিবারকেই জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে সিআরপিএফ। এই আবহে সিআরপিএফ বলে, 'রাহুল গান্ধীর পক্ষ থেকে নির্ধারিত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। বিষয়টি সম্পর্কে তাঁকে জানানো হয়েছে।'
সিআরপিএফ বলে, '২০২০ সাল থেকে ১১৩ বার নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে রাহুল গান্ধীর তরফে। ভারত জোড়ো যাত্রার দিল্লি পর্বের সময়ও নিরাপত্তা নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছেন রাহুল গান্ধী। সিআরপিএফ এই বিষয়টি আলাদাভাবে গ্রহণ করবে। রাজ্য পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয়ে রাহুল গান্ধীর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়। ২৪ ডিসেম্বরের পদযাত্রার জন্য ২২ ডিসেম্বর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করা হয়। সব নিয়ম মানা হয়েছে। দিল্লি পুলিশও পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী নিয়োগ করেছিল বলে জানিয়েছে।'
এর আগে গতকাল ভারত জোড়া যাত্রার সময় রাহুল গান্ধীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেসের সাংসগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, রাহুল গান্ধীর যাত্রা দিল্লিতে প্রবেশের পর দুই থেকে তিনবার নিরাপত্তা বলয় লঙ্ঘিত হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, গত ২৩ ডিসেম্বর সোহনাতে কয়েকজন ব্যক্তি যাত্রীদের ভ্যানে প্রবেশ করেন। তাদের ধরা হলে, তারা দাবি করে যে তারা টয়লেটে গিয়েছিল। যদিও বাইরেও টয়লেট ছিল। চিঠিতে বেণুগোপাল লিখেছেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রায় একাধিকবার নিরাপত্তায় গাফিলতি দেখা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছিল। Z+ নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধীর চারপাশে একটি পরিধি বজায় রাখতে পারেনি পুলিশ।' প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে।
এদিকে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, 'রাহুল গান্ধীর জেড (Z+) নিরাপত্তা কভার রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, রাহুল গান্ধী যখন দিল্লিতে প্রবেশ করেছিলেন তখন তাঁর চারপাশে কোনও দড়ি ছিল না।' পবন খেরা আরও বলেন, 'আমরা এরপর পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করব। এগুলো স্পর্শকাতর এলাকা। বিষয়টি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এনেছি।' পবন খেরার কথায়, 'এটি এমন একটি দল যারা দু'জন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়েছে। ২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ে গোটা রাজ্য নেতৃত্ব একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই আবহে আমরা সবাই রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তিত।'