সংসদে বক্তব্য রাখতে চেয়ে আর্জি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে রাহুল গান্ধী তুলে ধরলেন ২০১৫ সালের এক ঘটনার উদাহরণ। প্রসঙ্গত, সদ্য সংসদে তাঁর অনুপস্থিত থাকাকালীন মোদী মন্ত্রিসভার ৪ মন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তোলেন। তার জবাব দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সংসদে সময় চেয়ে একটি চিঠি ওম বিড়লার কাছে পাঠিয়েছেন কংগ্রেসের ওয়েনাদের সাংসদ রাহুল গান্ধী।
১৮ মার্চ ওম বিড়লার কাছে পাঠানো চিঠিতে রাহুল গান্ধী সেই ২০১৫ সালের ঘটনা তুলে ধরেন। সেবার ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেই সময় কেন্দ্রীয় সংযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল বড়সড় অভিযোগ। সেই অভিযোগ যেদিন সংসদে ওঠে, সেদিন সেখানে হাজির ছিলেন না রবিশঙ্কর প্রসাদ। আর তারপর দিন সংসদে হাজির হয়ে তিনি তৎকালীন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন বক্তব্য রাখতে। সেই আর্জিতে সায় দিয়েছিলেন সুমিত্রা মহাজন। এই উদাহরণ তুলে ধরে এবার বক্তব্য রাখার আর্জি জানালেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে রাহুল এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে আর্জি জানান যাতে, তাঁকে সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কথা বলতে দেওয়া হয়। (ইঁদুরের তাণ্ডবে দেবমূর্তির পোশাক ক্ষতবিক্ষত! পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সদ্য কী ঘটল?)
ওম বিড়লাকে লেখা তাঁর চিঠিতে বিজেপি কথা বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। রাহুল বলছেন, তাঁকে সংসদে কথা বলতে দিলে, তা ভালো একটি দিক হিসাবে উঠে আসবে। জানা গিয়েছে, রাহুলের লেখা এই চিঠিতি যাচাই করে নিয়েছেন, এক নামী আইন বিশেষজ্ঞ। তারপরই ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। এর আগে, লন্ডন সফরে গিয়ে রাহুল গান্ধী দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে মোদী সরকারকে খোঁচা দেন। সেই প্রেক্ষাপটে তিনি দেশের সদ্য গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে খোঁচা দেন মোদী সরকারের দিকে। উল্লেখ্য, সংসদে পর পর ৩ দিন বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি রাহুল গান্ধী। এদিকে, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রোজই প্রায় সংসদে হইচই থামাতে উদ্যোগ নেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন বিরোধী সাংসদদের যে তাঁরা নিজেরা বক্তব্য রাখতে পারবেন। সেই প্রেক্ষাপটে রাহুল গান্ধী কবে বক্তব্য রাখতে পারেন, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup