মাস খানেক আগে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের এক চর্মকারকে জুতো সেলাইয়ের মেশিন দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আর এবার এক নাপিতকে চুল কাটার চেয়ার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম উপহার দিলেন বিরোধী দলের নেতা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় রায়বেরেলি কেন্দ্রের ব্রজেন্দ্র নগরের এই নাপিতের দোকানে চুল ও দাড়ি কেটেছিলেন রাহুল গান্ধী। তার প্রায় তিন মাস পর ওই নাপিতের দোকানে এবার তিনি উপহার পাঠালেন রাহুল। উপহার পেয়ে বেজায় খুশি মিঠুন নামে ওই নাপিত।
আরও পড়ুন: ‘রাহুলের মন্তব্য দেশ বিরোধী, ভাবমূর্তি নষ্ট করছে’, চিনস্তুতি নিয়ে তোপ শিবরাজের
রাহুল গান্ধী লোকসভার বিরোধী দলের নেতা এবং রায়বেরেলির কংগ্রেস সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় গত ১৩ মে লালগঞ্জে একটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পথে রাহুল ব্রজেন্দ্র নগরে মিঠুনের দোকানে গাড়ি থামান। পরে সেখানে চুল এবং দাড়ি কেটে নেন। সেই ফাঁকেই রাহুল ওই যুবকের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি রাহুল যুবকের সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেন। তখন বেকারত্বের সমস্যার কথা রাহুলের কাছে তুলে ধরে ছিলেন ওই যুবক।
শুক্রবার মিঠুন জানান, রাহুল গান্ধী সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন। তিন মাসেরও বেশি সময় পর, বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে একটি গাড়ি তাঁর দোকানের কাছে এসে থামে। দুজন ব্যক্তি ওই গাড়ি থেকে দুটি চেয়ার, একটি শ্যাম্পু চেয়ার, ইনভার্টার সেট ইত্যাদি নামিয়ে তাঁর দোকানে আনেন। তাতে মিঠুন কিছুটা চমকে গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে বলা হয়েছিল যে এই সরঞ্জাম রাহুল গান্ধী তাঁকে পাঠিয়েছেন। তা জানার পরেই মিঠুন বেজায় খুশি হয়ে রাহুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র আংশু অবস্থি বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধী সর্বদা মানুষের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের চাহিদা কী তা তিনি খুব ভালো করে বোঝেন। রাহুল গান্ধী মিঠুনকে তাঁর কাজে সাহায্যের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি শ্যাম্পু চেয়ার, দুটি চুল কাটার চেয়ার এবং একটি ইনভার্টার ব্যাটারি।’ কংগ্রেস নেতা জানান, রাহুল এই কাজ করে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের উৎসাহিত করেন যাতে তাঁরাও এই কাজ বেশি করে করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৬ জুলাই রাহুল গান্ধী একটি মানহানির মামলায় সুলতানপুরে জেলা আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। সুলতানপুর থেকে লখনউ ফেরার পথে তিনি সেখানকার চর্মকার রাম চেতের জুতো সেলাইয়ের দোকানে আচমকা ঢুকে পড়েন। শুধু তাই নয়, রাহুল জুতোও সেলাই করেন। পরে সেই জুতোর দাম ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ওঠে। কিন্তু, রাম চেত সেটিকে স্মৃতি হিসেবে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। এদিকে, দোকানে যাওয়ার একদিন পর রাহুল রামকে তাঁর কাজের জন্য একটি জুতো সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছিলেন।