মার্কিন সফরে গিয়ে পরপর একাধিক ইস্যুতে মোদী সরকারকে তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে সমর্থন জানালেন রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, এর আগে লন্ডনে গিয়েও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল। এই আবহে দেশের শাসকদল অভিযোগ করেছে যে বিদেশে গিয়ে ভারতীয় অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের আবেদন জানাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। এই আবহে রাহুল জানান, তাঁর বিদেশ সফরের সঙ্গে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে তিনি মোগী সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বলেও জানান। পাশাপাশি চিন নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। রাহুল বলেন, 'চিনের মতো অগণতান্ত্রিক দেশের মনোভাবকে ঠেকাতে গণতান্ত্রিক দেশগুলি কোনও দৃষ্টিভঙ্গি এখনও তৈরি করতে পারেনি।'
বুধবার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাহুল গান্ধীকে ইউক্রেন ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সময় রাহুল দাবি করেন, ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে যে অবস্থান গ্রহণ করেছে, তা তিনি সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, 'আমাদের রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। আমাদের এই সম্পর্ক বহু বছর পুরোনো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীলও বটে। তাই বর্তমানে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত সরকার যে অবস্থান গ্রহণ করেছে, আমি হলেও তাই করতাম। দিনের শেষে আমাকে আমার দেশের স্বার্থের দিকে তাকাতে হবে।'
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, 'ভারত বিশাল বড় একটি দেশ। আমাদের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সঙ্গেই তাই সম্পর্ক থাকবে। আমাদের কিছু দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকবে। আবার কিছু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে। একটা সামঞ্জস্য থাকবে। তবে কোনও নির্দিষ্ট দেশের সঙ্গে যদি ভারতকে সম্পর্ক রাখতে বারণ করা হয়, তাহলে তা আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে যাবে।' এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে মোদী সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও একাধিক ইস্যুতে নিজের আক্রমণ বজায় রেখেছেন রাহুল। এদিকে বিজেপিও তাঁর 'খুঁত' ধরে তাঁকে তোপ দাগছে দেশের মাটিতে।
এর আগে মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে গুরু নানককে নিয়ে করা এক মন্তব্যের জেরে বিজেপির রোষের মুখে পড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন যে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য ঘিরে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই আবহে বিজেপি নেতারা সরব হয়েছিলেন। এদিকে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমর্থনে আরএসএস-এর পত্রিকা 'অর্গনাইজার'-এর একটি প্রতিবেদন সামনে এনেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। সেখানে লেখা, নিজের তৃতীয় উদাসী বা যাত্রায় গুরু নানক থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন।