স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে দৃপ্ত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তুলে ধরেন নারী অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান। এদিকে, ‘আজাদি কি অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষ্য়ে জেলবন্দিদের মুক্তি ঘিরে এক প্রসঙ্গ তুলে ধরেন রাহুল গান্ধী। এক টুইটে রাহুল লেখেন, ‘৫ মাসের গর্ভবতী মহিলাকে ধর্ষণ ও তাঁর ৩ বছরের মেয়ের হত্যাকারীকে আজাদি কি অমৃত মহোৎসবের সময় ছেড়ে দেওয়া হল। ’ উল্লেখ্য, বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত ১১ দোষীকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী।
উল্লেখ্য, ঘটনা ২০০২ সালের। গুজরাত দাঙ্গায় বিলকিস বানোর গণধর্ষণ কাণ্ড কার্যত এক ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে। ৫ মাসের গর্ভবতী বিলকিসের গণধর্ষণ ও তাঁর ৩ বছরের মেয়ের হত্যা মামলায় ১১ জন দোষী সাব্যস্ত হয়। ২০০৮ সালে দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়। এরসঙ্গেই গুজরাত সরকারের শাস্তি মুকুবের ধারায় আবেদন করে এক দোষী এই শাস্তি মুকুবের আবেদন করে। সেই আবেদনের ফলেই ১৫ বছর কারাবাসের পর দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘আজাদিকে অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষ্যে তাদের জেলমুক্তি ঘটে।
ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনায় নামেন রাহুল গান্ধী। তিনি সাফ দাবি করেন, কেন্দ্রের ‘কথায় ও কাজে ফারাক রয়েছে।’ তাঁর প্রশ্ন, এই ঘটনা থেকে কোন বার্তা দেশের মহলাদের কাছে যাচ্ছে? রাহুলের দাবি, লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের দিন যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন, ‘নারী শক্তি’র কথা, তখন দেশে ধর্ষণে সাজা প্রাপ্তদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জেল থেকে।