কেরালার ওয়েনাড় লোকসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাঁর অন্য পরিচয় হল, তিনি এই কেন্দ্রেরই প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধীর বোন। তাঁর প্রতি নিজের সমর্থন প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন 'দাদা' রাহুল।
বুধবার লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচারে প্রিয়াঙ্কার সমর্থনে ওয়েনাড়ে একটি জমকালো প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ভাই-বোনের ছোটবেলার নানা ঘটনা তুলে ধরেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল।
রায় বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ ওয়েনাড়ের মানুষকে আশ্বস্ত করেন, তাদের বোঝান, আগামী দিনে তিনি ও তাঁর বোন, দু'জনই এই কেন্দ্রের এবং এখানকার বাসিন্দাদের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করবেন।
আবেগপ্রবণ হয়ে রাহুল বলেন, তিনি এবং তাঁর বোন, দু'জনের কাছেই পরিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁরা সর্বদা তাঁদের পরিবারের প্রতি নিবেদিত থেকেছেন। এবং ওয়েনাড়ের মানুষও তাঁদের সেই পরিবারেরই অংশ।
এই প্রসঙ্গেই ভাই-বোনের ছোটবেলার নানা স্মৃতি তুলে ধরেন রাহুল। বলেন, 'একটা বা দু'টো বাক্যে যদি আমার বোনের সম্পর্কে বলতে হয়, তাহলে আমি কী বলব? যখন আমরা ছোট ছিলাম, প্রিয়াঙ্কা ওর বন্ধুদের ভীষণ ভালোবাসত। এবং তাদের জন্য সে সবকিছু করতে প্রস্তুত ছিল।'
এরপরই রাহুল আমজনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। বলেন, 'আমি প্রিয়াঙ্কাকে সবসময় বলি, বন্ধুদের স্বার্থে তুমি এতটাও এগোতে পার না। আপনারা ভেবে দেখুন, ও যদি ওর বন্ধুদের জন্য এত কিছু করতে পারে, তাহলে ওর পরিবারের জন্য় কী করবে?'
তাঁদের বাবার অকালমৃত্যু প্রিয়াঙ্কাকে যে এক লহমায় কত 'বড়' করে দিয়েছিল, এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে সেকথাও বলেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘যখন আমাদের বাবা মারা গেলেন, তখন আমার এই বোনই আমার মায়ের খেয়াল রাখত। পাপা যখন মারা গেলেন, তখন ওর বয়স মাত্র ১৭ বছর। আমি নিশ্চিত, আমার বোন তার পরিবারকে রক্ষা করার জন্য যেকোনও ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’
প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনী সমাবেশের পরই এদিন নিজের মনোনয়ন পেশ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। জেলাশাসকের কাছে তিনি যখন মনোনয় পেশ করছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন মা সোনিয়া গান্ধী, দাদা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
আগামী ১৩ নভেম্বর ওয়েনাড়ে লোকসভা উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই কেন্দ্রে প্রিয়াঙ্কার দুই অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন এলডিএফ-এর সথ্যন মকেরি এবং বিজেপির নাব্যা হরিদাস।