রাহুল গান্ধীকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা করা প্রস্তাব নেওয়া হল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে। এককথায় বিরাট সিদ্ধান্ত। মোদীর বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে একমাত্র মুখ যে রাহুল গান্ধী সেটা কার্যত প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাকেই কার্যত শীলমোহর দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।
তবে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি ভেবে জানাবেন। সূত্রের খবর।
শনিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার ভূমিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে দলের ৯৯ টি আসন জয়ের জন্য রাহুল গান্ধীকেই কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ভারত জোড়ো যাত্রাকেও অন্যতম কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র ৫২ টি আসন জিতেছিল। এবার সেটা একেবারে ৯৯ হয়ে গেল।
কংগ্রেস নেতা মানিকম ঠাকুর এর আগে বলেছিলেন, "কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস দলের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করতে যাচ্ছি। কংগ্রেস পার্টি সিপিপির চেয়ারপারসন নির্বাচন করবে। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে আমরা সকলেই মনে করি রাহুল গান্ধীকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এই দায়িত্ব গ্রহণ করলে তিনি ভারতের ২৩৪ জন সাংসদের নেতৃত্ব দেবেন। আমরা সবাই জানি যে বিজেপি গত লোকসভায় একক বৃহত্তম দল হিসাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের উপর তাদের নির্ভরতাই সরকার গঠনের একমাত্র উপায়। কংগ্রেস নেতা মানিকম ঠাকুর আগেই জানিয়েছিলেন, 'ভারত জোটের নেতারা অপেক্ষা করার এবং দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আমরা সঠিক সময়ে একটি সিদ্ধান্ত নেব।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন পদে ফের নির্বাচিত হতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী।
ওয়ানাড় ও রায়বরেলি থেকে লোকসভা ভোটে জয়ী রাহুল গান্ধী এই পদ গ্রহণ করার জন্য আওয়াজ তুলবেন।
সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সনকে সংসদের দুই কক্ষে দলের নেতাদের নাম ঘোষণা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে লোকসভায় এলওপি ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে ভোটে তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে যাওয়ায় তাঁর জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ কাউকে নিয়ে আসতে হবে দলকে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংসদের উচ্চকক্ষের বিরোধী দলনেতা।
কংগ্রেস সাংসদ ডিন কুরিয়াকোসও এই দাবি জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, 'সংসদীয় দল একজন নেতা নির্বাচন করবে। আমরা আশা করছি রাহুল গান্ধী সংসদীয় দলের নেতা হবেন। এখন আমাদের কাছে ভালো নম্বর আছে। আমরা ভালো বিরোধী দল গঠন করব। আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। বিজেপির বিরুদ্ধে জনাদেশ আছে, এটা খুবই সত্যি। ভারত এখন নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। দেখা যাক কী হয়।
ভারতীয় জোট ২৩৪টি আসন জিতেছে, বিজেপির আসন সংখ্যা মাত্র ২৪০-এ সীমাবদ্ধ রেখেছে।
কম আসন সংখ্যা নরেন্দ্র মোদীকে নীতীশ কুমার এবং এন চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থনের উপর নির্ভর করতে কার্যত বাধ্য করেছে।