পলাতক গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগীদের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাল জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। এএনআই সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থার অভিযানে বেশ কয়েকজন হাওয়ালা অপারেটরের জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে নাগপাদা, গোরেগাঁও, বোরিভালি, সান্তাক্রুজ, মুম্বরা, ভেন্ডি বাজার এবং অন্যান্য জায়গায় দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগীদের বাড়িতেও এনআইএ অভিযান চলছে।
এই অভিযানের বিষয়ে এনআইএ এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, ‘বেশ কয়েকটি হাওয়ালা অপারেটর এবং মাদক ব্যবসায়ী দাউদ ইব্রাহিমের সাথে যুক্ত ছিল এবং এনআইএ ফেব্রুয়ারিতে এই বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিল। আজ থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।’
দাউদের হাওয়ালা নেটওয়ার্ক ও সম্পত্তির লেনদেন খতিয়ে দেখা শুরু করেছে ইডি। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা মুম্বই এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় দশ জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল। দাউদের বোন হসিনা পারকরের বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। হসিনা মারা গেলেও তার ঘনিষ্ঠ অনেকের সাথেই মারাঠা রাজনীতিকের লেনদেন আছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আর্থিক জালিয়াতি কাণ্ডে দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকারকে হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।
১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার নেপথ্যে থাকায় দাউদ ইব্রাহিম ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছে। আপাতত পাকিস্তানে আরামের জীবন কাটাচ্ছে এই ডন। ২০২০ সালের অগস্টে পাকিস্তান সরকার ৮৮টি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং জঙ্গি নেতাদের উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময় পাকিস্তান প্রথমবারের মতো স্বীকার করে যে দাউদ ইব্রাহিম তাদের দেশেই উপস্থিত। তবে এর আগে বারংবার দিল্লি দাবি করে এলেও পাকিস্তানে দাউদের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করত ইসলামাবাদ।