বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Rail Board on Coromandel Express Accident: ১২৮ কিমি বেগে মালগাড়িতে ধাক্কা করমণ্ডলের, দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলল রেল বোর্ড

Rail Board on Coromandel Express Accident: ১২৮ কিমি বেগে মালগাড়িতে ধাক্কা করমণ্ডলের, দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলল রেল বোর্ড

বালাসোরে লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। (AFP)

কীভাবে হল বালাসোরের রেল দুর্ঘটনা? তিনদিন পরও রয়েছে ধন্দ। এই আবহে আজকে রেল বোর্ডের তরফে জানানো হল, মেন লাইনের বদলে লুপ লাইনে প্রবেশ করে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে কথা বলেন রেল বোর্ড সদস্য। 

কীভাবে হল বালাসোরের রেল দুর্ঘটনা? তিনদিন পরও রয়েছে ধন্দ। এই আবহে আজকে রেল বোর্ডের তরফে জানানো হল, মেন লাইনের বদলে লুপ লাইনে প্রবেশ করে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সিগন্যালিংয়ের সমস্যার বিষয়টির ওপর আলোকপাত না করেই রেল কর্তা জানান, বাহানগা বাজার স্টেশনে দুটো মেন লাইন এবং দুটো লুপ লাইন ছিল। আজ রেল বোর্ডের সদস্য জয়া বর্মা সিনহা আজ বোঝান কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দু'দিক দিয়ে আসা দু'টি এক্সপ্রেস ট্রেনকে স্টেশনে না থেমে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লুপ লাইনে দু'টো মালগাড়িকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এদিকে মধ্যিখানে থাকা মেন লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং হামসফর এক্সপ্রেসের। এরই মধ্যে রেল বোর্ডের তরফে জানানো হয়, করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি ১২৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে গিয়ে ধাক্কা খায় দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে। মালগাড়িতে লৌহ আকরিক ছিল। এই কারণেই এভাবে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব কামরা লাইনচ্যুত হয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছিটকে যায়।

এদিকে রেল বোর্ডের তরফে জানানো হয়, উলটো দিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস ১২৬ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটছিল। এদিকে আজকে রেলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে দু'টো ট্রেনের কোনওটি অনুমোদিত সর্বোচ্চ গতি লঙ্ঘন করেনি। এদিকে রেল বোর্ডের তরফে জানানো হয়, করমণ্ডল এক্সপ্রেস সবুজ সিগন্যাল দেওয়া হয়। তবে সেই সিগন্যাল মেন লাইনের জন্য ছিল। ট্রেনটি কেন এবং কীভাবে লুপ লাইনে ঢুকল তা নিয়ে মুখ খোলেননি রেল কর্তা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিতে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে ১২৮৪১ আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর জেরে সেই ট্রেনের বি২, বি৩, বি৪, বি৫, বি৬, বি৭, বি৮, বি৯, এ১ এবং এ২ কোচ উলটে যায়। এছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন এবং বি১ কোচটি লাইন থেকে ছিটকে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়।

প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। হিন্দুস্তান টাইমসকে রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, খড়্গপুর ডিভিশনের সিগন্যালিং রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিকে সেই লুপ লাইনে আগে থেকেই একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। এই মারাত্মক ভুলের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। এই লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসটা না ঢুকলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এছাড়াও প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, সিগন্যালিংয়ের গলদে এই দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রথমে মেন লাইনে ঢোকার জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। পরে সেই সংকেত বন্ধ করা হয়। এই আবহে লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

বন্ধ করুন