‘স্পেশাল চার্জ’ নিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি রেলমন্ত্রক। করোনা আবহে স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের অতিরিক্ত ডায়নামিক ফেয়ার দিতেও বাধ্য করেছে রেলমন্ত্রক। যার জেরে ২০২০–২১ আর্থিক বছরে ট্রেনের টিকিটে এই ডায়নামিক ফেয়ার থেকে প্রায় ৫১১ কোটি টাকা আয় করেছে ভারতীয় রেল বোর্ড। এক আরটিআইয়ের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছে খোদ রেলমন্ত্রক। এই নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে। যখন গোটা দেশে স্বাভাবিক ট্রেনই চলাচল করছিল না তখন রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনে স্পেশাল তকমা লাগিয়েও কেন নেওয়া হয়েছে ডায়নামিক ফেয়ার? প্রশ্ন উঠছে।
গোটা দেশে লকডাউন চলাকালীন ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে দেশব্যাপী যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেলমন্ত্রক। ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ধাপে ধাপে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যদিও স্বাভাবিক ট্রেন চলছিল না। পরিবর্তে যাত্রীবাহী স্পেশাল হিসেবে ট্রেনগুলি চালানো হয়েছিল। তখন রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত ট্রেনগুলি নিজস্ব নামে চলেনি। স্পেশাল হিসেবে চলেছিল। এই পরিস্থিতিতে কীসের ভিত্তিতে বাছাই করা ট্রেনে ডায়নামিক ফেয়ার ব্যবস্থা চালু করেছিল রেল? কেন যাত্রীদের বেশি মূল্যে টিকিট কাটতে বাধ্য করা হয়েছে? উঠেছে প্রশ্ন।
এই বিষয়টিকে সামনে আনতে এক জনৈক ব্যক্তি আরটিআই করেছিলেন। সেই আরটিআইয়ের জবাবে রেল জানিয়েছে, ২০২০–২১ আর্থিক বছরে শুধুমাত্র ডায়নামিক ফেয়ার থেকে রেলের আয় হয়েছে ৫১১ কোটি ৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৩১৯ টাকা। আর ট্রেনের টিকিটে তৎকাল চার্জ থেকে রেলের আয় হয়েছে ৪০৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩২২ টাকা। প্রিমিয়াম তৎকাল চার্জে রেলের আয়ের পরিমাণ ছিল ১১৯ কোটি ৯০ লক্ষ ৭৯৮ টাকা।
তবে ২০২১–২২ আর্থিক বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডায়নামিক ফেয়ার থেকে রেলের আয় হয়েছিল ২৪০ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৩৬ টাকা। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও পুরোদস্তুর স্পেশাল যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়েছে রেলমন্ত্রক। সম্প্রতি ট্রেনের টিকিটে ডায়নামিক ফেয়ারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য রেল বোর্ডকে সুপারিশ করেছে রেলের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।