একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনে রাতের শয্যা দেওয়া এখনই সম্ভব হচ্ছে না। রেলের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। তবে এই পরিষেবা যাতে দ্রুত চালু করা যায়, সেজন্য তৎপর হয়েছে রেল।
কিছুদিন আগেই রেলের তরফে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছিল, দূরপাল্লার ট্রেনে রাতে সফর করলে মিলবে চাদর, কম্বল, বালিশ। করোনা পরিস্থিতি শুরুর আগে যেমন এই পরিষেবা মিলত, ঠিক সেইরকমই এই পরিষেবা ফের চালু হবে। রেল মন্ত্রকের তরফে নোটিফিকেশন জারি করা হলেও বাস্তবে এই পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ আসতে শুরু করে। কিন্তু কেন এই পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না? রেল সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে স্পেশাল ট্রেন চললেও রাতের শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। করোনার জেরে প্রতিদিনের পরিষেবা দেওয়া ব্যাহত হয়। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে হলে রেলের বিপুল পরিমাণ বালিশ, চাদর, কম্বল কিনতে হবে। কিন্তু বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে রেলের পক্ষে সেসব সামগ্রী কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
করোনা পরিস্থিতির আগে টিকিয়াপাড়া, আসানসোল, শিয়ালদহে যন্ত্রচালিত ধোপাখাপায় চাদর, কম্বল, বালিশ ধোয়া হত। এছাড়াও একাধিক সংস্থাকে ওই সব সামগ্রী ধোয়ার কাজ দেওয়া হত। জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ১৮ হাজার বালিশ, ২০ হাজার কম্বল ও ১ লাখ ৫২ হাজার চাদর কিনতে হবে। কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিষেবা ফের চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে রেল। এই পরিষেবা শুরু হলে ফের অনেক কর্মীর কাজ মিলবে বলে জানা যাচ্ছে।