সহকর্মীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অন্যান্য রেল চালক ও রেলকর্মীদের একাংশ। একেবারে ডিউটির সময়ে তাঁরা সহকর্মীর শেষকৃত্যে চলে যান। আর তার জেরেই মুম্বইয়ের বাইকুল্লা ও স্যান্ডহার্ট স্টেশনের মধ্য়ে বিভিন্ন শাখায় ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ১৪৭টি ট্রেন বাতিল করতে হয় বলে খবর। তার মধ্য়ে আবার ৮৮টি লোকাল ট্রেন। এদিকে এভাবে আচমকা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যান সাধারণ যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ট্রেনের দেখা নেই।
এদিকে মুম্বইয়ের লাইফলাইন হল লোকাল ট্রেন। সেই লাইফলাইনই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। রেলকর্মীদের অনেকেই সহকর্মীর শেষকৃত্য়ে চলে গিয়েছিলেন। তার জেরেই এই পরিস্থিতি। ঠিক কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল?
সূত্রের খবর, বাইকুল্লা আর স্যান্ডহার্ট স্টেশনের মাঝে লাইন পার হচ্ছিলেন মুরলীধর শর্মা নামে ওই মোটরম্যান। সেই সময় ৪৫ বছর বয়সি ওই মোটরম্য়ানের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়। সহকর্মীদের একাংশের দাবি, অত্যন্ত টেনশনের মধ্য়ে কাজ করতে হচ্ছে রেলকর্মীদের। প্রচন্ড কাজের চাপ। ভালো করে ঘুম হচ্ছে না। তার উপর মানসিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে। সহকর্মীদের একাংশের দাবি, ওই মোটরম্যান লোকাল ট্রেন চালানোর সময় শুক্রবার সকালেই লাল সিগন্যাল পেরিয়ে কিছুটা চলে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তিনি টেনশনে ছিলেন। কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে এই আশঙ্কা করছিলেন। হয়তো তিনি কিছুটা আনমনা হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় রেললাইন পার হওয়ার সময়ই এই ভয়াবহ কাণ্ড হয়ে যায়।
শনিবার বিকাল ৫টা নাগাদ কল্যাণে ওই মৃত রেলকর্মীর শেষকৃত্য ছিল। সেখানে প্রায় শতাধিক মোটরম্যান ও রেলের অসংখ্য কর্মী উপস্থিত ছিলেন। খবর আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে। তাঁরা এভাবে কাজ ছেড়ে দিয়ে সহকর্মীর শেষকৃত্যে চলে আসার জেরে একের পর এক ট্রেন ক্যানসেল করতে হয়। তার জেরে যাত্রীদের ভোগান্তি ক্রমেই বাড়তে থাকে।
এদিকে সেন্ট্রাল রেলওয়ে মজদুর সংঘের দাবি, ওভারটাইম বা বাড়তি কাজের চাপ দেওয়া যাবে না। এই বাড়তি কাজ করতে গিয়েই যত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মূলত কর্মী সংকটের জেরেই একজন রেলকর্মীকে বাড়তি কাজের চাপ নিতে হচ্ছে। মারাত্মক চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তার জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই কাজের চাপ কমাতে হবে বলে দাবি তাঁদের।