গুরুত্বপূর্ণ রুটে ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা বাড়াতে অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত দোতলা রেলওয়ে কোচ তৈরি করল কাপুরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরি বা আরসিএফ। ঘণ্টায় ১৬০ কিমি বেগে ছুটতে পারে এই কামরাগুলি।
আপাতত লখনউয়ে রেলের রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (আরডিএসও) থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেতে নতুন বাতানুকূল ডবল ডেকার কোচগুলি পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে দেশের ব্যস্ততম রেলওয়ে রুটগুলিতে এই কোচগুলি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক।
এর আগে নব্বইয়ের দশকে চলতি আইসিএফ নকশা অনুযায়ী নন-এসি ডবল ডেকার কোচ তৈরি করেছিল ভারতীয় রেল। তার পরে ২০১০ সালের মার্চ মাসে তৈরি হয় ভারতের প্রথম বাতানুকূল দোতলা রেলওয়ে কোচ, যার সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিমি। পরবর্তীকালে আরও কিছু সুবিধাযুক্ত ‘উদয়’ ডবল ডেকার কোচ তৈরি করে আরসিএফ।
নতুন ডবল ডেকার কোচে রয়েছে অত্যাধুনিক এয়ার স্প্রিং সাসপেনশন প্রযুক্তি, যার সাহায্যে ন্যূনতম ঝাঁকুনি অনুভব করবেন যাত্রীরা।
প্রতিটি নতুন ডবল ডেকার কোচে ১২০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরের তলায় রয়েছে ৫০টি আসন, নীচের তলায় ৪৮টি আসন এবং এই দুই তলার মধ্যবর্তী অংশে থাকছে দুই ভাগে মোট ২২টি আসন।
আসনের সারির মাঝখানে যাত্রীদের চলাচলের জন্য প্রশস্ত জায়গা রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরামপ্রদ সফরের জন্য ছিমছাম অন্দরসজ্জা, ওভারহেড লাগেজ রাখার তাক, মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জিং সকেট, জিপিএস ভিত্তিক যাত্রী তথ্য পরিষ্বা, গন্তব্য স্টেশনের নাম ফুটে ওঠার জন্য এলইডি স্ক্রিন ও অন্যান্য যাত্রী পরিষেবা।
এই কোচগুলিতে থাকছে স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং দরজা এবং যাত্রীদের উষ্ণ ও শীতল খাদ্য-পানীয় সরবরাহের জন্য প্রতিটি কামরায় থাকছে খুদে প্যান্ট্রি।
গত বুধবার আরসিএফ জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্র গুপ্তার উপস্থিতিতে প্রথম লাইনের উপরে সচল হয় সদ্যনির্মনিত ডবলডেকার কোচগুলি।
রেলের নতুন ডবল ডেকার কোচকে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল টুইট করেন, ‘কাপুরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরি দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। নতুন প্রজন্মের ডবল ডেকার এসি চেয়ার কার কোচগুলি দেখুন, যা ঘণ্টায় ১৬০ কিমি গতিবেগে ছুটতে সক্ষম। যাত্রী পরিষেবায় বনামানোর আগে কোচগুলির নিরাপত্তা পরীক্ষা করবে আরডিএসও।’