রেলওয়ে স্টেশনে বহুদিন ধরে পড়ে পুরনো স্টিম ইঞ্জিন। সেটা থেকে যদি দু'পয়সা আয় হয়, তবে মন্দ কী! নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে তাই ফন্দি আঁটেন রেলেরই ইঞ্জিনিয়ার। রীতিমতো ভুয়ো কাগজ বানিয়ে ওজন দরে বেচে দিলেন তিনি।
ঘটনাটি বিহারের পূর্ণিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনের। বিষয়টা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেন উপরওয়ালারা। সামস্তিপুর লোকো ডিজেল শেডের ওই ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করেছে রেল।
এ বিষয়ে মামলাও দায়ের হয়েছে। এফআইআর-এ লোকো ডিজেল শেডে নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন নিরাপত্তা আধিকারিক-সহ মোট সাতজনের নাম রয়েছে।
রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (RPF) পূর্ণিয়ার গুলাববাগ এলাকা থেকে ইঞ্জিনের একটি অংশ উদ্ধার করেছে।
ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) অলোক আগরওয়াল জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ার রাজীবরঞ্জন ঝা, একজন নিরাপত্তা আধিকারিক এবং একজন হেল্পারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। 'আমরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি,' জানালেন ডিআরএম।
ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের এক আধিকারিক বলছেন একটি জাল চিঠির ভিত্তিতে পুরানো বাষ্প ইঞ্জিন বিক্রি করা হয়। অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেছিলেন, সমষ্টিপুরের ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিএমই) সেই বিক্রির নির্দেশ জারি করেছেন।
সূত্রের খবর, গত ১৪ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার পূর্ণিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে লোকজন নিয়ে যান। সেখানে রেলের কর্মীদের গ্যাস কাটার দিয়ে ইঞ্জিন টুকরো টুকরো করার নির্দেশ দেন। ফাঁড়ির ইনচার্জ এমএম রেহমান আপত্তি জানালে তিনি তাঁকে ডিএমই সমস্তিপুরের একটি জাল চিঠি দেখান। ইঞ্জিন থেকে স্ক্র্যাপ ডিজেল শেডে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
বিভাগীয় নিরাপত্তা কমিশনার এ কে লাল বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে চিঠিটি জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। রেলের শেডও এই চিঠি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।'
মাঝখান থেকে চাপে ওই ইঞ্জিনিয়ারের থেকে যিনি ইঞ্জিনটি কিনেছিলেন। তবে ঘটনা জানাজানি হতেই পলাতক তিনি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।