এমন ঘটনার খুব তীক্ষ্ণ নজরে না দেখলে ধরা মুশকিল। রেলের টিকিট কাউন্টারে থাকা এক আধিকারিক যাত্রীর থেকে টিকিকের দাম হিসাবে ৫০০ টাকা নিয়ে, পরে তাকে ২০ টাকা বলে দাবি করেন। এরসঙ্গেই টিকিটের দাম হিসাবে বাড়তি টাকাও টিকিটের দাম হিসাবে দাবি করেন। কারণ ওই টিকিটের মূল্য ১২৫ টাকা। চোখের নিমেষে ঘটে যাওয়া এই কাণ্ড ভিডিয়ো বন্দি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রেল হুইস্পার্স’এর তরফে এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। খবর, এইটি হজরত নিজামুদ্দিন রেলস্টেশনের কাণ্ড। গত ২৭ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, টিকিট কাউন্টারে ৫০০ টাকা দিচ্ছেন যাত্রা। তিনি যেতে চাইছেন গোয়ালিয়ার সুপারফাস্ট ট্রেনে। টাকা দেওয়ার পর তা হাতে নিচ্ছেন টিকিট কাউন্টারে থাকা রেল আধিকারিক। তাঁর হাতের আঙুলের ফাঁকে থাকা ৫০০ টাকার নোট যেন আচমকাই ২০ টাকা দেখা যাচ্ছে। যা ভিডিয়োয় খুব ভালো করে তাকালে বোঝা যাবে। তখনই টিকিট কাউন্টারে বসা আধিকারিক আরও টাকা চান, কারণ গোয়ালিয়ার এক্সপ্রেসের টিকিটের ভাড়া ১২৫ টাকা, আর তাঁর দাবি, যাত্রী তাঁকে দিয়েছেন মাত্র ২০ টাকা। বাস্তবে যাত্রী তাঁকে দিয়েছেন ৫০০ টাকার নোট! ঘটনা ঘিরে পড়ে গিয়েছে হইচই। চোখের নিমেষে কথা বলতে বলতে টিকিট কাউন্টারে বসা ব্যক্তি যেভাবে ওই নোট ওলোট পালট করে দিয়েছেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই রেলসেবা দফতরের নজরে পড়ে গিয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় রেলের নর্দান রেলওয়ের দিল্লি ডিভিশনের নজরে পড়ে গিয়েছে এই দৃশ্য। স্বভাবতই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই অফিসারের এরপর কোনও শাস্তি হয় কিনা, বা আসল ঘটনা কী, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।