ফের খবরে ভারতীয় রেল। আসলে নানা ধরনের নেতিবাচক কারণে মাঝেমধ্য়েই তারা সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। বহু ক্ষেত্রে যাত্রীদের অসংখ্য অভিযোগ থাকে রেলের বিরুদ্ধে। যেমন - বেহাল পরিষেবা, কর্মীদের খারাপ ব্যবহার প্রভৃতি। কিন্তু, এবারের খবরের কারণ ভিন্ন। বরং, এবার রেলের কাঠগড়ায় উঠতে হল যাত্রীদেরই। নিজেদের লটবহরের ভিতর লুকিয়ে রেলের চাদর ও তোয়ালে গায়েব করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠল কিছু যাত্রীর বিরুদ্ধে!
ঘটনা ঠিক কী?
ইতিমধ্য়েই বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুই যাত্রীকে আটকেছেন রেলকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে প্রচুর জিনিসপত্র রয়েছে। আর সেই জিনিসপত্রের মধ্য়েই রেলের দেওয়া ধপধবে সাদা চাদর ও তোয়ালে লুকিয়ে রেখে হাপিস করার চেষ্টা করছেন তাঁরা! কিন্তু, তাঁদের সেই অপকর্ম শেষমেশ ধরা পড়ে যায়। রেলকর্মীরা তাঁদের আটকে সেই চাদর ও তোয়ালে উদ্ধার করেন।
সূত্রের দাবি, এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ রেল স্টেশনে। ভাইরাল ওই ভিডিয়োয় রেলের এমন একটি সমস্য়া উঠে এসেছে, যা নিয়ে হয়তো খুব বেশি আলোচনা হয় না।
যদিও রেলের কর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বললেই জানা যাবে, এমন ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। সাধারণত, রেলের বাতানুকূল কামরাতেই চাদর, তোয়ালে, বালিশ প্রভৃতি দেওয়া হয়। এই কামরার টিকিটের দাম সাধারণ কামরার থেকে অনেকটাই বেশি। ধরে নেওয়াই যায়, যাঁরা এইসব টিকিট কাটেন, তাঁরা আর্থিকভাবে যথেষ্ট স্বচ্ছল। তারপরও তাঁরা চাদর, তোয়ালে, বালিশ চুরির মতো কাজ করেন, তা একইসঙ্গে লজ্জার ও অপমানের।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ঘটনার ভিডিয়ো:
সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটি ইতিমধ্য়েই অসংখ্য নেটিজেনের নজর কেড়েছে। অনেকেই এটি রিপোস্ট করেছেন। কমেন্টও করেছেন অসংখ্য নেট ইউজার। তাঁদের একটা বড় অংশ বিষয়টি নিয়ে মজা করেছেন। কেউ আবার ব্যঙ্গ করার ছলেই চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন।
কেউ একজন যেমন চরম মশকরার সুরে লিখেছেন, 'চাদরই তো নিয়েছে। বালিশ তো আর নেয়নি!' আরও একজন কমেন্ট করেছেন, 'ওঁরা বোধ হয় ভেবেছিলেন, হোটেলে যেমন কমপ্লিমেন্টরি সাবান, শ্য়াম্পু দেয়, রেলের তরফেও তেমন বিনামূল্যে এইসব চাদর, তোয়ালে বিলি করা হয়!'
অনেকে আবার এত রাখঢাক করেননি। তাঁরা সরাসরি ওই যাত্রীদের শিক্ষা, সংস্কার এবং রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এক নেট ইউজার অত্যন্ত সিরিয়াস কমেন্ট করেছেন, 'এই ধরনের আচরণ আদতে অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচয় দেয়। বোঝাই যাচ্ছে, রেলকে বাধ্য হয়েই টিকিটের দাম বাড়াতে হয়।'