ভারতীয় রেল, ভারতীয় পোস্ট এবং পণ্য পরিবহণের বড় বড় সব সংস্থা একসঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার ‘জয়েন্ট পার্সেল প্রোডাক্ট’ নামক পরিষেবা লঞ্চ করতে চলেছে। কলকাতার যোগাযোগ ভবনে এই নিয়ে কয়েকদিন আগেই বৈঠকে বসেছিল রেল, পোস্ট এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্তারা। রেল পোস্ট গতিশক্তি প্রকল্পের অধীনে এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে।
যোগাযোগ ভবনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক (কৌশলগত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন) জিভিএল সত্যকুমার; দুষ্যন্ত মান্ডা, ডিডিজি, মেইল অপারেশনস, ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্ট; চারুকেশি, চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল, কলকাতা; সৌমিত্র মজুমদার, প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক, পূর্ব রেলওয়ে; মহম্মদ ওয়েইস, প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক, দক্ষিণ পূর্ব রেল; অনিল কুমার, পিএমজি (মেল ও ব্যবসা বিভাগ) এবং ইন্ডিয়া পোস্ট, পূর্ব রেলওয়ে এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের অন্যান্য সিনিয়র অফিসাররা।
রেল বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিভিএল সত্যকুমার এই পরিষেবা সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করেন যোগাযোগ ভবনের বৈঠকে। সেখানে তিনি বিস্তারিত ভাবে বোঝান যে কীভাবে রেল এবং পোস্ট একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এই পরিষেবা দিতে চলেছে। এই নয়া পরিষেবার ফলে এবার থেকে সাধারণ মানুষকে আর রেল স্টেশনে গিয়ে পার্সেল জমা দিতে হবে না বা সংগ্রহ করতে হবে না। গ্রাহকের বাড়ি থেকেই পণ্য নিয়ে যাওয়া হবে বা পণ্য সরবরাহ করে দিয়ে আসা হবে। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের সময়ই এই পরিষেবার ঘোষণা করা হয়েছিল। বারাণসী এবং সুরাটের মধ্যে এই পরিষেবা চালু হয়েছিল চলতি বছরের ৮ মার্চ। এই বিষয়ে জিভিএল সত্যকুমার সাংবাদিকদের জানান, রেল এবং ডাক বিভাগের কর্তারা একসঙ্গে মিলে এই পরিষেবার পরিকল্পনা করেছেন। পণ্য পরিবহণের জন্য বিশেষ ভাবে কামরা ডিজাইন করা হয়েছে। তাতে করে ভারী পণ্যও পরিবহণ করা যাবে অনায়াসে।
ভারতীয় পোস্ট গ্রাহকের বাড়ি থেকে পণ্য সংগ্রহ করবে। এরপর রেলের কাছে তা পৌঁছে দেবে পোস্ট। রেল সেই পণ্য গন্তব্য শহরে পৌঁছে দিলে সেখান থেকে তা সংগ্রহ করবে ডাক বিভাগ। ফের পোস্ট সেই পণ্য নিয়ে গিয়ে প্রাপকের বাড়িতে পৌঁছে দেবে। এদিকে পণ্য পরিবহণের খরচ নির্ধারণ করবে রেল বোর্ড। পণ্যের ওজনের ওপর নির্ভর করেই পণ্য পরিবহণের ভাড়া ধার্য করা হবে। এদিকে পণ্য কোথায় আছে তা অ্যাপের মাধ্যমে ট্র্যাক করতে পারবেন গ্রাহকরা। রেল কর্তার কথায়, এই পরিষেবার ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি বেশ উপকৃত হবে।