বাংলার জন্য সুখবর। এবার রাজ্যের জন্য নয়া প্রকল্পে অনুমোদন রেলের। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ বিভাগের অধীনে চাঁপাপুকুর-হাসনাবাদ এবং লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখায় ডাবলিং প্রকল্পের জন্য চূড়ান্ত অবস্থান জরিপের (সার্ভে) অনুমোদন দিল রেলমন্ত্রক। এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হল উপনগরীয় করিডোরগুলিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, চলাচলের দক্ষতা উন্নত করা এবং সংযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করা।
আরও পড়ুন-ট্রাম্প ভিসানীতিতে নাজেহাল! বিয়েতে দিশাহীন ভারতীয়রা, পড়ুয়াদের ঝুঁকি
মঙ্গলবার রেল মন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বর্তমানে চাঁপাপুকুর-হাসনাবাদ শাখায় প্রতিদিন প্রায় ২৩ জোড়া ইএমইউ ট্রেন চলাচল করে। যার ফলে প্রায় ১০০ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার হচ্ছে। ডাবলিং কাজ সম্পন্ন হলে ট্রেন চলাচলের জটিলতা ও বিলম্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভ্যাবলা হাল্ট, বসিরহাট, মতনিয়া আনন্দপুর, মধ্যমপুর, নিমদানরি, টাকি রোডের স্টেশনগুলির যাত্রীদের সুবিধা হবে এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার যাত্রীদের জন্য আরও বেশি ট্রেন পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় রেলপথটি গঙ্গাসাগর, বকখালি এবং হেনরিস আইল্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ ও পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই রুটের সক্ষমতা ব্যবহারের হার ১০৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে, ফলে একটি লাইন হওয়ায় বড় বাধা সৃষ্টি করছে। ডাবলিং কাজ সম্পন্ন হলে উদয়রামপুর, কলওয়ান হাল্ট, করঞ্জলী হাল্ট, নিশ্চিন্দপুর, কাশীনগর হাল্ট, কাকদ্বীপ, উকিলের হাট প্রভৃতি স্টেশনগুলির যাত্রীদের জন্য যাতায়াত আরও সহজ ও দ্রুত হবে। এছাড়াও পর্যটকরা সুন্দরবন অঞ্চলে যেতে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-ট্রাম্প ভিসানীতিতে নাজেহাল! বিয়েতে দিশাহীন ভারতীয়রা, পড়ুয়াদের ঝুঁকি
কেন্দ্রের দাবি, এই ডাবলিং প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হলে শিয়ালদহ বিভাগের অন্তর্গত লক্ষ লক্ষ যাত্রী উপকৃত হবেন। পাশাপাশি ট্রেন চলাচল হবে আরও নিরাপদ, সীমিত সময় ও নির্ভরযোগ্য, যার ফলে যাত্রার অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত এবং আরামদায়ক। এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন ফিজিবিলিটি পরীক্ষা ও বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে। এর আগে জানা গিয়েছিল, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ বিভাগের অধীনে রানাঘাট–বনগাঁ রেলপথের উন্নয়নে নতুন অধ্যায় শুরু হবে।জানা গিয়েছে, ভারতীয় রেলের বোর্ডের তরফে ৩২.৯৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রানাঘাট–বনগাঁ শাখায় ডাবল লাইন প্রকল্পের জন্য ৩৯৬.০৪ কোটি টাকার বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় মোট নয়টি স্টেশন ও দুটি লিমিটেড হাইট সাবওয়ে নির্মিত হবে। একটি সাবওয়ে তৈরি হবে রানাঘাট ও মাঝেরগ্রামের মধ্যে, অন্যটি মাঝেরগ্রাম ও গোপালনগরের মাঝামাঝি স্থানে।