করোনার জেরে এখনও সম্পূর্ণ ভাবে স্বাভাবিক হয়নি রেল পরিষেবা। এরই মাঝে এগিয়ে আসছে উত্সবের মরশুম। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ কর্মূসূত্রে থাকেন ভিনরাজ্যে। উত্সবের সময় অনেকেই বাড়ি ফিরতে রেলের উপর ভরসা রাখেন। আবার উত্সবের মরশুমে ঘুরতে যেতেও রেলই প্রথম চয়েস অনেকের। এই আবহে যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখে উৎসবের মরশুমে বিশেষ ট্রেনের ঘোষণা করল রেল। জানা গিয়েছে উৎসবের মরশুমে ৮০টি স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে রেলের তরফে।
বর্তমানে বিভিন্ন রুটে এখনও বিশেষ ট্রেন চালিয়েই যাত্রী চাহিদা মেটাচ্ছে রেল। পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি রেল পরিষেবা। অল্প সংখ্যক ট্রেন চলাচল করছে দেশে। এর জেরে সমস্যায় পড়ছেন অনেক যাত্রী। এই আবহে উত্সবের কথা মাথায় রেখে ৪০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচলের ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলে চড়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের সমস্ত কোভিড বিধি মানতে হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিশেষ ট্রেনের টিকিটও শেষ। কনফার্ম টিকিট নেই বহু ট্রেনেই। ২ নভেম্বর পর্যন্ত অধিকাংশ ট্রেনের সব আসন বুক হয়ে গিয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দালালচক্রের রমরমা ঠেকাতে এই সময়কালে রিজার্ভেশন সেন্টার, রেলওয়ে স্টেশন এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলির উপরেও নজরদারি চালানো হবে।
নয়াদিল্লি-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস, আনন্দ বিহার-পটনা বিক্রমশিলা এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-বেনারস শিব গঙ্গা এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-জয়নগর এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-রাজেন্দ্র নগর রাজধানী এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-রাজগীর শ্রমজীবী এক্সপ্রেস সহ বেশ কয়েকটি ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হলেও তাতে এখনই ওয়েটিংয়ে চলে গিয়েছে টিকিট।