মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবিলম্বে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আইন আনার আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেছেন রাজ। তবে চলমান ‘হনুমান চালিসা’ বিতর্কের মাঝে তাঁর এই আহ্বান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে এদিন রাজ আরও বলেন, আমার ঔরঙ্গাবাদের নাম বদল করে তা সম্ভাজির নামে সম্ভাজিনগর করার দাবি তুলছি।
এদিকে নিজের অযোধ্যা সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজ ঠাকরে বলেন যে যারা লাউডস্পিকারের বিরুদ্ধে তাঁর বিরোধিতা পছন্দ করে না তাঁরা তাঁর জন্য একটি ফাঁদ পেতেছিল। রাজ ঠাকরে বলেছেন, ‘কিন্তু আমি এই ফাঁদে পড়িনি কারণ আমি চাইনি আমার এমএনএস কর্মীরা জেলে যাক।’
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ ঠাকরে অযোধ্যা যাত্রার ঘোষণা করার পর বিজেপি সাংস বৃজ ভূষণ সিং দাবি করেছিলেন, ‘উত্তর ভারতীয়দের বিরুদ্ধে মানহানীকর বক্তব্যের জন্য রাজ ঠাকরেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’ এই আবহে রাজ ঠাকরে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘কেন ১৪-১৫ বছর পরে কিছু লোক ক্ষমা চাইতে বলছে আমাকে?’
হনুমান চালিসা বিতর্ক সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজ ঠাকরে বলে, ‘আমি বলেছিলাম, মহারাষ্ট্র সরকার যদি মসজিদ থেকে অবৈধ লাউডস্পিকার সরাতে ব্যর্থ হয় তাহলে যেন আমার দলের লোকেরা মসজিদের সামনে গিয়ে হনুমান চালিসা বাজাক। কিন্তু রানা দম্পতি মাতোশ্রীতে গিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ করতে চেয়েছিলেন। কেন? মাতোশ্রী কি একটি মসজিদ? এবং তারপরে এই সমস্ত কিছুর পরেও রানা দম্পতিকে শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে একসাথে বসে খেতে দেখা গিয়েছে।’
এদিকে এমএনএস প্রধান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের 'আমাদের হিন্দুত্ব-তাদের হিন্দুত্ব' মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোপ দেগে বলেন, ‘এই আসল হিন্দুত্ব, নকল হিন্দুত্ব জিনিসটা কী? আমরা কি ওয়াশিং পাউডার বিক্রি করছি?’ প্রসঙ্গত, শিবসেনা-বিজেপির সম্পর্ক ভাঙার পর থেকেই রাজ ঠাকরে বিজেপির কাছাকাছি এসেছেন। তবে বিজেপির অনেকের সঙ্গেই তাঁর বিভেদ রয়েছে। এই আবহে রাজ ঠাকরে একযোগে বিজেপি ও শিবসেনাকে নিশানা করলেও কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাছে আবেদন জানান সিভিল কোড ও ঔরঙ্গাবাজের নাম বদল নিয়ে।