বিজেপি-র বিরুদ্ধে ফের সরকার ভাঙার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুললেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
বিক্ষুব্ধ উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের নেতৃত্বে রাজস্থানে সরকার ভাঙার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার চার মাস পরে ফের একই অভিযোগ তুলেছেন গেহলট। শনিবার সিরোহি জেলার শিবগঞ্জ নগরে নতুন কংগ্রেস দফতরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক অজয় মাকেন ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং দোতাসারার উপস্থিতিতেই গেহলট বলেন, ‘ওরা সব সময় নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। রাজস্থানে ফের সেই খেলা ওরা শুরু করেছে, এমনই ওদের চিন্তাধারা। লোকে বলছে, এবার মহারাষ্ট্রকে নিশানা করেছে বিজেপি।’
তিনি বলেন, ‘আগে অর্থের বিনিময়ে সরকার ফেলার চক্রান্ত করত বিজেপি। প্রত্যেকে দেখেছেন কী ভাবে (পাইলটের অনুগামী) বিধায়করা ধর্মেন্দ্র প্রধান ও সৈয়দ জাফরের উপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। একঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। ‘বৈঠকের পরে বিধায়করা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিমকি ও মিষ্টি পরিবেশন করতে দেখে তাঁরা খুবই লজ্জা পেয়েছিলেন।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রণদীপ সুরজেওয়ালা, অজয় মাকেন, কে সি বেণুগোপাল ও অবিনাশ পান্ডের মতো আমাদের সব শীর্ষস্থানীয় নেতারা সরকার বাঁচাতে ওই নেতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন।’
উল্লিখিত সংকটকালে গত ১৪ জুলাই উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পাইলটকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন পাইলট অনুগামী আরও দুই নেতা।
পাইলট অনুগামী এক বিধায়ক অবশ্য জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে মন্ত্রিসভার আয়তন বাড়াতে এবং রাজনৈতিক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করার উদ্দেশেই ফের এই বিষয়টি তুলছেন। আমাদের সঙ্গে অমিত শাহের সাক্ষাৎ হয়নি।’
রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক ও মুখপাত্র রাম লাল শর্মা জানিয়েছেন, ‘এর আগেও কখনও বিজেপি সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেনি। যা হয়েছে ওদের অভ্যন্তরীণ ঝামেলার ফলে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিধায়করা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। তা হলে উনি তাঁদের নাম প্রকাশ করছেন না কেন? সরকার পড়লে ওদের খেয়োখেয়ির জন্য পড়বে।’