অবশেষে কি যাবতীয় মান-অভিমান দূরে সরিয়ে ঘরে ফিরতে চলেছেন সচিন পাইলট? দুই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তেমনই ইঙ্গিত দিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ১৮ জন বিদ্রোহী বিধায়ক নিয়ে জয়পুর ছাড়ার ঠিক একমাস পরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
ওই দুই নেতা জানিয়েছেন, সাক্ষাতের জন্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সময় চেয়েছেন পাইলট। তাঁদের মধ্যে এক নেতা আবার জানান, আহমেদ প্যাটেল, কে সি ভেনুগোপালের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। যা থেকে ওই নেতার অনুমান, নিজের অবস্থানে কিছুটা নরম হয়েছেন পাইলট।
তবে পাইলটের সঙ্গে রাহুল দেখা করতে সম্মত হয়েছেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস’। ওই দুই বর্ষীয়ান নেতার বক্তব্য, পাইলট ও রাহুলের যে সম্পর্ক আছে, তাতে দুজনের বৈঠক হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন। তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে রাজি হননি তিনি।
পাইলটের এক অনুগামী জানিয়েছেন, বিধায়কদের বৈঠকে বিদ্রোহীদের কংগ্রেসে ফেরার সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা গুরুগ্রামে আইটিসি গ্র্যান্ড ভারতে কয়েকদিন কাটানোর পর ফরিদাবাদ থেকে মানসরের বিভিন্ন হোটেলে থাকছেন।
পাইলটের অনুগামীর যুক্তি অবশ্য পুরোপুরি খণ্ডন করেননি ওই দু'জন কংগ্রেস নেতার মধ্যে একজন। তিনি জানান, সেটাও হতে পারে। কারণ আপাতত সরকার নিরাপদ মনে হচ্ছে। একইসঙ্গে পাইলট ক্যাম্পের কয়েকজন বিধায়ক ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছেন এবং দলের শীর্ষ নেতৃৃত্বের সঙ্গে মোটামুটি সমঝোতা করতে চাইছেন।
সোমবারের ঘটনাপ্রবাহের আগেই কংগ্রেসের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পাইলটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে, কমপক্ষে রাজ্যস্তরে। রবিবারই পাইলটের দলে ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজস্থানে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে কখনও কখনও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে বুকে পাথর রাখতে হয়।’