ছয় বছর আগে হরিয়ানায় এই সুভাষ চন্দ্রের কাছেই হারতে হয়েছিল কংগ্রেস মনোনীত রাজ্যসভার প্রার্থী আরকে আনন্দ। সেবারে হরিয়ানার সেই আসন কংগ্রেসের জন্য ছিল ‘নিশ্চিত’। তবে তা সত্ত্বেও বিজেপি সমর্থিত নির্দল সুভাষের গুগলিতে হারতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। এবার সেই একই পরীক্ষার সামনে কংগ্রেস। তবে এবার পরীক্ষা রাজস্থানে। আর এবারের পরীক্ষা আরও কঠিন আগের বারের থেকে।
গতকালই রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়নয়ন পেশের শেষ দিন ছিল। সেদিনই মিডিয়া ব্যারন তথা এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্র রাজস্থান থেকে মনোয়নয় পেশ করলেন। বিজেপি জানিয়েছে যে নির্দল সুভাষকে এবারও তারা সমর্থন করবে। তবে জয় নিশ্চিত করার সংখ্যা বিজেপির কাছে নেই। রাজস্থানের মোট ৪টি রাজ্যসভার আসনের জন্য নির্বাচন হবে আগামী ১০ জুন। এর মধ্যে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত দুটি আসনে। একটি আশনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। তবে চতুর্থ আসনের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে কংগ্রেস ও বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর মধ্যে।
কংগ্রেস রাজস্থান থেকে তিনজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে – মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সুরজেওয়ালা, প্রমোদ তিওয়ারি। বিজেপি একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে – ঘনশ্যাম তিওয়ারি। এই আবহে কংগ্রেসের ততৃতীয় প্রার্থী প্রমোদ তিওয়ারির সঙ্গে সুভাষ চন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থানে এক একটি আসনে জিততে একটি প্রার্থীর প্রয়োজন ৪১টি আসন। সেখানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭১। তার মানে ঘনশ্যামকে জিতিয়েও তাদের কাছে ৩১টি আরও ভোট থাকবে। সেই ভোট দিয়েই তারা সুভাষকে সমর্থন জানাবে। তাছাড়া কংগ্রেস সরকারকে সমর্থনকারী ১৩ নির্দল ও ছোট দলের বিধায়কদেরও ভাঙানোর চেষ্টা করবে বিজেপি।
এদিকে নিজের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী সুভাষ চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘গতবার আমি হরিয়ানা থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলাম। এবার আমি বিজেপি নেতাদের রাজস্থান থেকে আমাকে সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। আমার বসত ভিঁটে মূলত শেখাওয়াটি অঞ্চলের (রাজস্থানের) ফতেহপুরে। আমি নির্দল বিধায়কদের সাথে আলোচনা করার পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবং আমি নিশ্চিত যে আমি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভোট পাব।’